নিজস্ব প্রতিবেদন: গঙ্গারামপুর পুরসভায় মঙ্গলবারের অনাস্থা বৈঠক বাতিল ঘোষণা করল হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় এই রায় দেন। তবে আগামী ৫ অগাস্টের অনাস্থা বৈঠক হবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি। একই সঙ্গে ওই দিন ১৮ জন কাউন্সিলরকে পুলিসি নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



গঙ্গারামপুরে অস্থিরতা শুরু হয় বিপ্লব মিত্রর বিজেপিতে যোগদানের পর। লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাটে তৃণমূলের হারের পিছনে দলীয় নেতৃত্বকে দায়ী করে তৃণমূল ছাড়েন তিনি। এর পরই বিপ্লববাবুর ভাই তথা পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রকে দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। ফলে শহরে আড়াআড়িভাবে ভেঙে যায় তৃণমূল। 


১৮ ওয়ার্ডের গঙ্গারামপুর পুরসভায় ৮ জন কাউন্সিলরের সমর্থন রয়েছে প্রশান্তবাবুর পক্ষে। তাঁকে তৃণমূল বহিষ্কার করতেই শহর ছাড়েন বিপক্ষে থাকা ১০ জন কাউন্সিলর। গতকাল শহরে ফিরে রাতারাতি অনাস্থা বৈঠক ডাকেন তাঁরা। বৈঠকের দিন স্থির হয় ২৩ জুলাই।


দক্ষিণ কলকাতার বিজয়গড়ে প্রকাশ্য রাস্তায় যৌন হেনস্থার শিকার টলিউড অভিনেত্রী


ওদিকে গত ১৬ জুলাই অনাস্থা বৈঠক ডেকেছিলেন প্রশান্ত মিত্র ও তাঁর অনুগামীরা। তার দিন ঠিক ছিল ৫ অগাস্ট। বিরোধী কাউন্সিলররা অনাস্থা ডাকতেই আদালতের দ্বারস্থ হন প্রশান্তবাবুরা। 


সেই মামলার রায়ে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় জানান। আগে যে অনাস্থা আনা হয়েছে সেটিই বৈধ। ২৩ জুলাইয়ের অনাস্থা বৈঠক অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন তিনি। জানান অনাস্থা বৈঠক হবে ৫ অগাস্টই। সেই দিন পুরসভার ১৮ জন কাউন্সিলরকে পুলিসি নিরাপত্তা দিতে দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিস সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। 


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রতি বনগাঁ পুরসভায় আস্থা ভোটের চেহারা দেখে প্রমাদ গুনেছেন বিচারপতি। তাই কাউন্সিলরদের নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। 


গঙ্গারামপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ১৬ জুলাই - ৫ অগাস্ট। তৃণমূল ২৩ জুলাই।