প্রসেনজিত্ মালাকার: অনুব্রত মণ্ডল না থাকায় বীরভূমের সাংগঠনিক দায়িত্বে এর তৃণমূলের কোর কমিটি। তবে নজর রয়েছে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে সেই কোর কমিটির বৈঠকেই বেরিয়ে এল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি। বুধবার এই ছবি বীরভূমের খয়রাশোলের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-প্রবল দাবদাহে বদলাচ্ছে স্কুলের সময়!  


বুধবার বীরভূমের খায়রাশোলে তৃণমূল কার্যালয়ে একটি বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস এর তরফে। এই বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন বীরভূমের কোর কমিটির সদস্য তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের ভারপ্রাপ্ত বিধায়ক নরেন চক্রবর্তী। সেই বৈঠকেই হাজির হলেন খোদ ব্লক সভাপতি, পাশাপাশি উপস্থিত হলেন না ব্লক কমিটির অধিকাংশ সদস্য।


উল্লেখ্য, অনুব্রতহীন বীরভূম জেলার দায়িত্ব নিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।। পাশাপাশি একটি কোর কমিটি গড়ে দিয়েছেন যারা এই দল নিয়ন্ত্রণ করবে। আর সেই কোর কমিটির সদস্যের ডাকা মিটিং এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসায় অসস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।


এদিন বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষের মুখে বেশ হুমকির সুর শোন গেল। তাঁকে বলতে শোনা গেল, আজকে ধরুন কেষ্টদা যখন আসানসোল গেল তখন আলাদা ব্যাপার। আসানসোল থেকে যেই তিহার গেল, তখন কিছু কুচক্রী মাল লেগে গেল এ আর ফিরে আসবে না, সব শেষ হয়ে গেল! সেগুড়ে বালি।।


এদিনের এই মিটিং নিয়ে বীরভূমের ভারপ্রাপ্ত বিধায়ক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঢাকতে বলেন, আজ থেকে ছায়া সরে আবার রোদ দেখা দিতে শুরু করেছে খয়রাশালের মাটিতে। এবার দেখবেন সব ঠিক হয়ে গিয়েছে।।


যদিও ব্লক কমিটির সদস্য রজত মুখার্জি তার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন, তিনি বলেছেন তাদেরকে ডাকা হয়নি তাই তারা যাননি।। পাশাপাশি তিনি এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন।। যদিও, বৈঠকে উপস্থিত না থাকলেও এই নিয়ে কিছুই বলতে চাইনি ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী।।


অন্যেদিকে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বেশ অস্বস্তিতে পরে যান তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষ।। তিনি মিটিং ডেকে তিনি নিজেই দাবি করেন যে, এটা শুধুমাত্র ইফতার পার্টি ছিল। সেই কারণে তিনি এসেছিলেন।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)