নিজস্ব প্রতিবেদন : রোজ-ই তাঁর দোকানে অনেক ক্রেতা আসেন চপ কিনতে। এক-একজনের পছন্দ এক-একরকম। ক্রেতারা তাঁদের পছন্দমতো চপের অর্জার দেন। আর সুগন্ধীও কোমরে আঁচল গুঁজে জলদি হাতে তড়িঘড়ি চপ ভেজে দেন ক্রেতাকে। তবে, তাঁর চপের দোকানে একদিন যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মতো হাইপ্রোফাইল কোনও ক্রেতা আসবেন, তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি ডুয়ার্সের সুগন্ধী শা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, একমঞ্চে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি


ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের বাসিন্দা মদন শা ও তাঁর স্ত্রী সুগন্ধী দেবী। টিলাবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সের কাছেই দম্পতির একটি চপের দোকান রয়েছে। রোজ সন্ধ্যায় স্বামী, স্ত্রী দুজনে মিলে চপ ভাজেন  আর বিক্রি করেন।  কোনওদিন বেশি ক্রেতা আসেন। চপ বেশি বিক্রি হয়। কোনওদিন ক্রেতার সংখ্যা একটু কম থাকে। সেদিন আবার বিক্রিবাটা কম হয়। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যা তো হল একদম অন্যরকম। হাঁটতে বেরিয়ে সটান সুগন্ধীদের চপের দোকানে গিয়ে হাজির হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  সুগন্ধীদের দোকান থেকে চপ, পিঁয়াজি আর গপো কেনেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজেও খান আর সবাইকেও খাওয়ান। তারপর সুগন্ধীর হাতে ধরিয়ে দেন কড়কড়ে ২২০ টাকা।


আরও পড়ুন, সূর্যের ‘বন্ধুত্ব বার্তা’য় সাড়া সোমেনের, জানাবেন রাহুলকে


তাঁর দোকানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী! প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না আটপৌরে গৃহবধূ সুগন্ধীর। তারপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ও সবার জন্য চপের অর্ডার দিতেই ঘোর কাটে। আনন্দে আপ্লুত সুগন্ধী তড়িঘড়ি সবাইকে চপ ভেজে খাওয়ায়। টিনের ছাউনি দেওয়া অস্থায়ী দোকানে রোজ চপ বিক্রি করেই দিন গুজরান হয় শা দম্পতির। চপ কেনার পর সুগন্ধীদের মুখে তাঁদের দুঃখ দুর্দশার কথা শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপরই আশ্বাস দেন, সুগন্ধীদের চপের দোকানটিকে খুব শিগগির-ই দোতলা করে দেওয়া হবে বলে। এমনটাই জানিয়েছেন সুগন্ধী।


আরও পড়ুন, কোচবিহারে দাঁড়িয়ে NRC নিয়ে বিজেপিকে বিঁধলেন মমতা


সুগন্ধী জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কাছ থেকে আলুর চপ কেনেন। বেশ কয়েক মিনিট তাঁদের সঙ্গে গল্প করেন। তাঁদের পাকা দোকান করে দেওয়ার আশ্বাসও দেন। মুখ্যমন্ত্রীকে হাতের কাছে পেয়ে স্বভাবতই খুশি ডুয়ার্সের এই দুঃস্থ চপ বিক্রেতা দম্পতি। যদিও পুলিস সুপার অমিতাভ মাইতি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তাঁর কিছু জানা নেই।