ডায়মন্ডহারবারে ভোট পরবর্তী হিংসা, বীরেন্দ্রকে চিঠি শিশু সুরক্ষা কমিশনের
ঘটনার দ্রুত তদন্তের পাশাপাশি অভিযুক্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে ‘সার্ভিস রুল’ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন।
নিজস্ব প্রতিবেদন- ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তরজা অব্যাহত। এবার এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডি জি বীরেন্দ্রকে নোটিসে পাঠালো জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। নোটিসে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার পুলিস সুপারিনটেন্ডেন্ট অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়, যুব তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির খান, ফলতা থানার আই সি অভিজিৎ হাইত এবং পুলিশ অফিসার রফিকুজ্জামান শেখ ও সুমন বগির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
মহারাষ্ট্র নিবাসী মৈত্রী জোশীর আবেদনের ভিত্তিতেই এবার পদক্ষেপ নিল জাতীয় শিশু অধিকার কমিশন। মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি জেলার বাসিন্দা মৈত্রী জোশী ফলতা বিধানসভা জুড়ে চলতে থাকা ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসার ঘটনার বিবরণ দিয়ে কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনে অভিযোগ করে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তাতে তিনি লেখেন, ভোটের আগে ডায়মন্ড হারবারের এস পি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্বাচন কমিশন সরিয়ে দেয়। কিন্তু ভোটের ফলাফল বেরনোর পর নতুন সরকার গঠিত হলে অভিজিৎকে ডায়মন্ড হারবারে ফিরিয়ে আনে রাজ্য সরকার। ফলতায় তারপর থেকে পুলিশের সহযোগিতায় জাহাঙ্গির এবং তাঁর অনুগামীরা বহু বাড়িতে হামলা চালায়। পরিবারের বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের উপরেও অত্যাচার চালানো হয়।
আরও পড়ুন: দিঘা থেকে খেজুরি, দুর্যোগের এতদিন পরও জল নামেনি, উত্কন্ঠায় উপকূলের কয়েক হাজার মানুষ
নোটিসে এই ঘটনার দ্রুত তদন্তের পাশাপাশি অভিযুক্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে ‘সার্ভিস রুল’ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। এ বিষয়ে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। কমিশন আরও লিখেছে যাতে বিশেষ জুভেনাইল পুলিশ অফিসারকে আক্রান্ত শিশুদের বয়ান রেকর্ড করে পাঠানো হয়। কারণ এমন অভিযোগ রয়েছে যে, জাহাঙ্গিরের নির্দেশেই ফলতার রামনগর থানার পুলিশ এবং তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা খোর্দো-নালা গ্রামে অভিযান চালিয়ে শিশু ও মহিলাদের বেধড়ক মারধর করে। এছাড়াও ২৭ জনকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হয়। তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়। এলাকায় প্রায় ৬০০-এর বেশি পরিবার ঘরছাড়া। সাড়ে তিনশোর বেশি বাড়িতে লুঠ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগানের অভিযোগও রয়েছে।
বিজেপি-র মদতে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। ভোটে বহু ব্যবধানে হেরে কমিশনকে কাজে লাগিয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি বলে পাল্টা অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূলের।