ঢুকে পড়ছে মাফিয়ারা, দলেরই ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র BJP-র `যোগদান মেলা`
বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্ণণ ঘড়ুই বলেন, `তৃণমূলের চক্রান্তেই ওই ঘটনা ঘটেছে। দলের কেউ যদি ওই ঘটনার সঙ্গে জড়়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।`
নিজস্ব প্রতিবেদন: দলে ঢুকে পড়ছে সমাজ বিরোধীরা। এরকম এক অভিযোগে তোলপাড় দুর্গাপুর।
সোমবার দুর্গাপুরের(Durgapur)৩২ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশডিহা ময়দানে 'যোগদান মেলা'-র আয়োজন করে বিজেপি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh) ও সাংসদ অর্জুন সিং(Arjun Singh)। তাঁরা অনুষ্ঠানে আসার আগেই বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা-হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। নব্য বিজেপি কর্মীরা স্লোগান দিতে দিতে মঞ্চের দিকে এগিয়ে এলে তাদের বাধা দেয় পুরনোরা। শুরু হয় হাতাহাতি। দুপক্ষেই মঞ্চে উঠে তোলপাড় শুরু করে। ভাঙা হয় চেয়ার।
আরও পড়ুন-পুলিস-প্রশাসন রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট, ফের রাজ্য সরকারকে নিশানা ধনখড়ের
এনিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দুর্গাপুর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি অমিতাভ যাদব(Amitabha Yadav)। বলেন, এতবছর ধরে যারা তৃণমূলে ছিল সেইসব দুষ্কৃতী ও কয়লা মাফিয়াদের দলে নেওয়া হচ্ছে। এদের হাতে আমরা একদিন মার খেয়েছি। জেলা সভাপতি লক্ষ্ণণ ঘড়ুই এদের বিজেপিতে যোগদান করাচ্ছে।
ওই গন্ডগোলের ব্যাপারে বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্ণণ ঘড়ুই বলেন, 'তৃণমূলের চক্রান্তেই ওই ঘটনা ঘটেছে। দলের কেউ যদি ওই ঘটনার সঙ্গে জড়়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
এদিন বিজেপিতে যোগ দেন রাজেশ ঝা ওরফে রাজু ঝা। বিজেপির একাংশের অভিযোগ, রাজু ঝা বাম আমল কয়লা পাচারের(Coal Mafia)সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অর্জুন সিংয়ের হাত থেকে তিনি আজ বিজেপির পতাকা তুলে নেন। রাজুর সঙ্গে এদিন বিজেপিতে যোগ দেন আরও ১৫০ জন। রাজুর বিরুদ্ধে কয়লা পাচার ছাড়াও মাদক, বেআইনি অস্ত্র, জাল নোট পাচার সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি বিজেপির একাংশের।
এদিন বিজেপিতে যোগ দেন বাম আমলে সিপিএম ঘনিষ্ঠ ওসি শঙ্খ বিশ্বাস। রাজ্যে পাল বদলের পরই তিনি পুলিসের চাকরি ছেড়ে দেন। তাঁর হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন-আগামী বছর জুড়ে পালিত হবে নেতাজিজয়ন্তী, উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়ল ভারত সরকার
বিজেপির যোগদান মেলা-য় হাঙ্গামা নিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, 'বিজেপির নতুন ও পুরনোদের মধ্যে বিবাদ আরও বাড়বে। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরই কয়লা মাফিয়া বলে যাকে গ্রেফতার করছিল সে এখন বিজেপির সম্পদ। এক সময়ে বাম ঘনিষ্ঠ ও অস্ত্র পচারের সঙ্গে জড়িত পুলিস আধিকারিকও বিজেপিতে গিয়ে সম্পদ বাড়িয়েছে। মানুষ সব দেখছে। ভোটে এর জবাব তাঁরা দেবেন।'
এদিকে, দুষ্কৃতীরা বিজেপিতে ঢুকছে এমন অভিযাগ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, যখন এরা তৃণমূলে ছিলেন তখন বিখ্যাত ছিলেন। আর যেই বিজেপিতে এলেন তখনই কুখ্যাত হয়ে গেলেন!