নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপটে লন্ডভল্ড দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। আজ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে হিঙ্গলগঞ্জ ও সাগরে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে ক্ষতিপূরণ। পাশাপাশি মমতার সাফ বার্তা, ত্রাণ বিতরণে কোনও রকমের কার্পণ্য করা চলবে না। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "৩ জুন থেকে ১৮ জুন গ্রামে-গ্রাম, ব্লকে-ব্লকে দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প চলবে। এটা সরকারি অফইসাররা করবেন। দুয়ারে সরকারের মতো এখানেও ক্ষতিগ্রস্তরা এসে নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা জমা দেবেন। এরপর ১৯ জুন থেকে ৩০ জুন প্রতিটি অভিযোগ সার্ভে করে দেখা হবে। এরপর ১ জুলাই থেকে সরাসরি মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে দুয়ারে ত্রাণ"। এছাড়া তিনি আরও বলেন, "রিলিফ ক্যাম্পে রিলিফ যাতে ঠিক মতো পৌঁছয়, লিরিফ যাতে সবাই পায় তা দেখতে হবে। কাল সন্দেশখালি থেকে একটা রিপোর্ট পেয়েছিলাম। রিলিফ ঠিক মতো পৌঁছয়নি।" তাঁর কড়া নির্দেশ, প্রতিটি রিফিল সেন্টারে সাধারণ মানুষ যাতে খাবার, ত্রিপল, চাল পান সেদিকে নজর রাখতে হবে। বেবি ফুড সঠিক ভাবে বিতরণ করতে হবে।



আরও পড়ুন: ২৭ ঘণ্টা পরেও জ্বলছে আগুন, বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হল বিলকান্দার কারখানার বিভিন্ন অংশ


আরও পড়ুন: PM-CM বৈঠকে Suvendu-কে নিয়ে আপত্তি Mamata-র, বিরোধী দলনেতার নথি প্রকাশ বিজেপির


এদিনে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে লাইন ডিপার্টমেন্ট, বিডিও, এসডিও, ফিল্ড ওয়ার্কারদের ধন্যবাদ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, "অনেক কাজ করেছেন আপনারা"। এরপর মুখ্যমন্ত্রী জানান, ঝড়ের আগে হিঙ্গলগঞ্জে ২ লক্ষ ৭১ হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে। সেখানে ১ হাজার ৩৫৪ রিলিফ ক্যাম্প হয়েছে। ৫৫টি বাঁধ ভেঙেছে, রাস্তাও ভেঙেছে। ৪০ হাজার হেক্টর কৃষিজমি নষ্ট হয়েছে। ১৬০০ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা নষ্ট হয়েছে এবং ১৮৮টি ব্রিজ, কালভার্ট, ইলেকট্রিক পোস্ট, স্কুল নষ্ট হয়েছে। ব্যারাকপুর, বারাসাত, বনগাঁ, বসিরহাট সাব-ডিভিশনের দায়িত্বে চারজন নোডাল অফিসার নিয়োগেরও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্র