নিজস্ব প্রতিবেদন : হলদিয়ায় একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধনে ফের রাজ্যে আসছেন মোদি। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ায় ১১০০ কোটির এলপিজি টার্মিনালের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সেইসঙ্গে রয়েছে একাধিক কর্মসূচি। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। সেই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত থাকার জন্য এবার আমন্ত্রণ জানানো হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে (Mamata Banerjee)। উল্লেখ্য, এর আগে ২৩ জানুয়ারি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তীতে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানে মুখোমুখি হন মোদী-মমতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন, "উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় যাতে নিরবিচ্ছিন্ন পরিষেবা প্রদান করা সম্ভব হয় তার জন্য ১১০০ কোটি টাকা খরচ করে এলপিজি টার্মিনাল বানানো হয়েছে হলদিয়ায়। সেটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে লুব্রিকেন্ট বেস অয়েল বানানোর জন্য হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালে ১০০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে গড়ে উঠেছে কারখানা। তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। শুধু তাই নয় মিনিস্ট্রি অফ রোড ট্রান্সপোর্ট আওতায় একটি রাস্তার প্রকল্পও বাস্তবায়িত হবে। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের ফুলপুর থেকে প্রধানমন্ত্রী উরজা গঙ্গা যোজনার আওতায় পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাসের সরবরাহ করা হবে। ২৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি সেই প্রকল্পেরও উদ্বোধন করবেন মোদীজি (Narendra Modi)।"


এদিন হলদিয়ার টাউনশিপের হেলিপ্যাড ময়দান পরিদর্শন করেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। এই মাঠেই ৭ তারিখ সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। উল্লেখ্য, এদিন ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে মাঠ পরিদর্শনে হাজির ছিলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও। প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় বাংলায় ৮৮ লক্ষ ৫০ হাজার এলপিজি সংযোগ দেওয়া হয়েছে, যা বাংলার জন্য অত্যন্ত গর্বের বলে জানান তিনি। আরও বলেন, গতকাল কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী তাঁকে ফোন করেছিলেন উপস্থিত থাকার জন্য। তাই তিনি আজ এসেছেন। প্রসঙ্গত, ৭ তারিখ হলদিয়ায় মোদীর সভায় উপস্থিত থাকার জন্যও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাঁকে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে তাঁকে ফোন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।


এই প্রসঙ্গে দিব্যেন্দু অধিকারীকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন হলদিয়া টাউন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দেবপ্রসাদ মন্ডল। তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যখন নন্দীগ্রামে এলেন, তখন তিনি সাক্ষাৎ করলেন না। যে দল তাঁকে এমপি করেছে, তার নেত্রী যখন সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান, আর তাঁকে অপমানিত হতে হয়, তখন ওনার মনে থাকে না। বিজেপির বিরুদ্ধে যখন সব নেতা-কর্মীরা লড়াই করছে, তখন উনি এবং ওনার বাবা শিশির অধিকারী নীরব রয়েছেন। আসলে কবে বিজেপিতে যাবেন দিন গুনছেন। চলে যান না, মানুষকে এভাবে ঠকিয়ে লাভ কি?"


আরও পড়ুন, কৃষকদের ভাঁওতা দিয়েছে দিদি, সরকারে এসেই আয়ুষ্মান ভারত চালু করবে BJP : Amit Shah


'আমি ডিভোর্স চাই না, BJP তোমায় বোকা বানাচ্ছে, আমাকে দমানো যাবে না', Soumitra-কে চিঠি Sujata-র