CM In Jhargram: `আমাদের পাওনা টাকা ফিরিয়ে দাও নইলে জিএসটি বন্ধ করো`
মমতা আরও বলেন, আমাদের পাওনা টাকা আমাদের দেবে না এটা হতে পারে না। আমাকে বলে কিনা সব টাকা বন্ধ করে দেব। আমরাও তো সব টাকা বন্ধ করে দিতে পারি। কেন তোমাকে টাকা দিতে যাব। তুমি জিএসটির ট্যাক্স তুলে নিয়ে যাচ্ছে আর মানুষের টাকা দেবে না!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেন্দ্রের কাছ থেকে পাওনা টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রকে ফের নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামে বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্ততীর অনুষ্ঠানে গিয়ে কেন্দ্রের প্রতি মমতার হুঙ্কার, হয় টাকা দাও নয়তো গদি ছাড়ো। এদিন ঝাড়গ্রাম-সহ রাজ্যের ৬টি জায়গায় বিরসা মুন্ডার মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, কেন্দ্র আমাদের এখান থেকে টাকা তুলে নিয়ে যায় সেই টাকা আমরা পাই। জিএসটি নামেও টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। একশো দিনের টাকা কেন্দ্র আমাদের দিচ্ছে না। এই টাকা আমাদের প্রাপ্য। সেই টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। আগে রাজ্য সরকার ট্যাক্স নিত। এখন কেন্দ্র একটাই ট্যাক্স নেয়। আপনি নুন কিনছেন, শাড়ি কিনছেন, জিএসটি দিতে হচ্ছে। সেই ট্যাক্স থেকে আমাদের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। একশো দিনের কাজের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এনিয়ে কথা বলে এসেছি। এবার কি পায়ে ধরতে হবে। আমাদের টাকা আমাদের ফিরিয়ে দাও নাহলে জিএসটি বন্ধ করে দাও। একশো দিনের টাকা না দিলে সহ্য করবে না গরিব মানুষ। গ্রামীণ রাস্তা তৈরির টাকা আমাদের দিচ্ছে না। আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া চলবে না। এটা ছিল বিরসা মুন্ডার বক্তব্য। তিনি বলতেন রানী চালাবেন না দেশ। দেশ আমার চালাব। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে তিনি সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। আমিও বলব অধিকার কেড়ে নিতে হয়।
আরও পড়ুন-উচ্চপ্রাথমিকে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ, ভিন্ন দাবি কমিশনের
কেন্দ্রকে নিশানা করে মমতা আরও বলেন, আমাদের পাওনা টাকা আমাদের দেবে না এটা হতে পারে না। আমাকে বলে কিনা সব টাকা বন্ধ করে দেব। আমরাও তো সব টাকা বন্ধ করে দিতে পারি। কেন তোমাকে টাকা দিতে যাব। তুমি জিএসটির ট্যাক্স তুলে নিয়ে যাচ্ছে আর মানুষের টাকা দেবে না! মানুষের জন্য দেশ। নেতার জন্য দেশ নয়। একশো দিনের টাকা ফেরত দাও নইলে গদি ছেড়ে দাও। টাকা দিতে হবে। তুমি আমার টাকা তুলে নিয়ে যাবে আর আমার টাকা দেবে না। এটা হয় না। এটা একরকম প্রতারণা।
মমতা তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তীতে রাজ্যস্তরের অনুষ্ঠান হয়েছে ঝাড়গ্রামে। এছাড়াও আলিপুরদুয়ার, কেশিয়ারি, কাঁকসা-সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তী পালন হচ্ছে। ৬টি মূর্তির উন্মোচন করা হয়েছে। ৩২ কোটির টাকারও বেশি প্রকল্পের শিলান্যাস হল। ১ হাজার আদিবাসীকে ধামসা মাদল তুলে দেওয়া হল। ৩ লাখ মানুষকে জয় জোহর পেনশন দেওয়া হচ্ছে। বহু মানুষকে কেন্দুপাতা সংগ্রহের অধিকার দেওয়া হচ্ছে। ঝাড়গ্রাম, আরামবাগ, বারাসত, তমলুক , জলপাইগুড়ি, উলুবেডিয়া মেডিক্যাল কলেজে ক্লাস শুরু হয়ে গেল। বিরসা মুন্ডা তাঁর জীবনে আপোসহীন সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছিলেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার জন্য তিনি যে আন্দোলন করেছিলেন তা আপনারা সারাজীবন মনে রাখবেন। রাস্তায় নেমে আদিবাসীদের জন্য লড়াই করেছিলেন বিরসা মুন্ডা। তাঁকে ২ বছর জেলে রেখেছিল ব্রিটিশরা। মাত্র ২৫ বছর বয়সে কারাগারে তাঁর মৃত্যু হয়। রাজারহাটে বিরসা ভবন তৈরি করা হয়েছে। সাঁওতালি মাধ্য়মে প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি স্কুলে পঠন পাঠন চালু করা হয়েছে। বিরসা মুন্ডার জন্মদিনকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।