Bus Accident: গ্যাংটক থেকে ফেরার পথে উল্টে গেল নামী কলেজের বাস, হাসপাতালে ভর্তি একাধিক পড়ুয়া
সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকলেও একাধিক জায়গায় ধসের আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা
নারায়ণ সিংহ রায় : সিকিম থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনা। রাস্তার পাশে থাকা একটি পাথরে ধাক্কা লেগে উল্টে গেল কলেজপড়ুয়া ভর্তি একটি বাস। কোনওক্রমে বাঁচলেন যাত্রীরা। গুরুতর আহত অনেকে।
সিকিমে বেড়াতে গিয়েছিল রাঁচির সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের পড়ুয়ারা। একটি বাসে ছিল ২২ পড়ুয়া। মঙ্গলবার গ্যাংটক থেকে শিলিগুড়ি ফেরার পথে ছয় মাইলের কাছে একটি বড় পাথরে গিয়ে ধাক্কা মারে বাসটি। দুর্ঘটনাটি ঘটে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে অরেঞ্জ ভিলার কাছে। প্রবল ধাক্কায় রাস্তাতেই উল্টে যায় বাসটি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বাসটি বেশ জোরেই আসছিল। সেটি সোজা গিয়ে ধাক্কা মারে একটি বড় পাথরে এবং সেটি উল্টে যায়। বাসের মধ্যেই আটকে পড়ে যাত্রীরা। একে একে তাদের উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গেই আহত পড়ুয়াদের নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এখনওপর্যন্ত মৃত্যুর কোনও খবর নেই। এমনটাই খবর প্রশাসনের তরফে।
এদিকে, সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকলেও একাধিক জায়গায় ধসের আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত শিলিগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছে ৫১ মিলিমিটার , জলপাইগুড়িতে ২০৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে , ধুপগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ১২৮.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি , ফালাকাটায় ১৮৭.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে , আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টি হয়েছে ১৮৪.৬ মিলিমিটার , কোচবিহারে বৃষ্টি হয়েছে ২৩১.৫ মিলিমিটার। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা , বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। আবহাওয়াবিদদের কথায় , যদি এভাবেই বৃষ্টি চলতে থাকে তাহলে তিস্তার যে সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত এলাকাগুলো রয়েছে সেগুলো ডুবে যাবে। বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। দার্জিলিং কালিম্পং সহ এলাকাগুলোতে ধারাবাহিকভাবে ধস নামবে।
আরও পড়ুন-Kalyani: ব্যান্ডেজ খুলে দিল 'মত্ত' চিকিত্সক! অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্য়ু তরুণের