তৃণমূলে থাকতে অসুবিধা হলে ফিরুন কংগ্রেসেই: শুভেন্দুকেই কি বার্তা অধীরের?
বিরক্ত তৃণমূলীদের কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ডাক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির
নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘরে ফেরার ডাক দিলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। দিলেন একটি টুইটের মাধ্যমে।
কাদের দিলেন? ঠিক এই মুহূর্তে যাঁদের তৃণমূলে থাকতে অসুবিধা হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে, তাঁদের।
কেন ঘরে ফেরার কথা বললেন?
বললেন, কেননা, ভারত জুড়ে এমনিতেই মনে করা হয়, এ দেশের সিংহভাগ রাজনৈতিক দলের 'মাদার পার্টি' কংগ্রেসই। এক হিসেবে কথাটা মিথ্য়ে নয়। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা, এ রাজ্যে একদা কংগ্রেস থেকে ভেঙেই তৃণমূল দলটির জন্ম হয়েছিল। কংগ্রেস আক্ষরিক অর্থেই তৃণমূলের 'মাদার পার্টি'। তৃণমূলের দিক থেকে দেখতে গেলে নিজেদের পূর্বতন 'ঘর'ও।
এত বছর পরে কোনও ঢাক-ঢাক গুড়-গুড় না করে ভিন্নতর রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাই খুব স্পষ্ট করে সেই 'ঘরে ফেরা'র বার্তাই দিলেন অধীররঞ্জন।
একটি টুইটে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলে দিলেন, 'তৃণমূলের কোনও রাজনৈতিক অস্তিত্ব নেই। তৃণমূলে থাকতে কারও সমস্যা হলে কংগ্রেসের দরজা তাঁদের জন্য খোলা।'
পরে অধীর আরও লিখছেন, 'কংগ্রেস থেকে তৃণমূলের জন্ম হয়েছিল। আপনারা আবার কংগ্রেসে ফিরে আসুন। আপনাদের মর্যাদা দেওয়ার ক্ষমতা কংগ্রেসের আছে।'
২০২১-এর ভোটের আগে চলতি রাজ্য-রাজনীতির প্রেক্ষিতে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ অধীরের এই টুইট। সব চেয়ে বড় কথা, এই টুইটের মাধ্যমে অধীর কি তবে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেই বার্তা দিয়ে রাখলেন? কেননা, ইদানীং তৃণমূলের যে নেতাকে নিয়ে সব চেয়ে বেশি আলোচনা চলছে, তাঁর নাম শুভেন্দু অধিকারীই। অনেক দিন ধরেই বাংলার বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে-- শুভেন্দু তৃণমূল নিয়ে খুশি নন, তিনি বোধ হয় দলত্যাগ করবেন, তিনি বোধ হয় দলবদল করবেন। এ রটনায় আদৌ কতটা সত্যতা আছে কেউ বলতে পারেন না।
কিন্তু এরকম একটি চাঞ্চল্যকর রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অধীরের এত স্পষ্ট টুইট নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা কিন্তু একটু তলিয়েই ভাবতে চাইছেন, একটু অন্য রঙ ও রঙ্গোলির সন্ধান করছেন।
আরও পড়ুন: দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি: শুভেন্দু