Mamata in North Bengal: দুর্নীতি-খুনের অভিযোগ জানাতে এবার 'দিদিকে বলো'-র ধাঁচে হেল্পলাইন, ঘোষণা মমতার
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নোবেল থেকে নন্দীগ্রাম, নেতাই সিবিআই কিছু করতে পারেনি
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিদিকে বলো-র মতো এবার আসছে আরও একটি হেল্পলাইন। কোনও গন্ডগোল বা খুনখারাপির মত ঘটনা ঘটলে, পুলিস ব্যবস্থা না নিলে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে রাজ্য সরকার। পাহাড়ে যাওয়ার আগে শিলিগুড়িতে এমনটাই ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রামপুরহাট কাণ্ডে পুলিসের ভুল ছিল মেনে নিয়েও এর পেছনে ষড়যন্ত্র থাকার দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। রবিবার ওই অনুষ্ঠানে রামপুরহাটের ঘটনা, রাজ্য পুলিসের কাজকর্ম, বিরোধীদের ভূমিকা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোনও ঘটনা আমার সামনে ঘটে গেলে আমি সঙ্গে সঙ্গে তা থামাব। কিন্তু আমি ভগবান নই। সবকিছু আমার হাতে থাকে না। কিন্তু ঘটনা ঘটে গেলে অ্যাকশন নেওয়াটা আমাদের কাজ। সেটা করতে পারছি কিনা তা দেখতে হবে। কোনও গন্ডগোল হলে পুলিসকে জানান। পুলিস ব্যবস্থা না নিলে আমাকে জানান। গ্রাম, শহরের ছেলে মেয়েরা নজর রাখুন। খবর যদি থাকে কোথাও কিছু হতে পারে তাহলে সোজা লোকাল পুলিস স্টেশনে যান। আর যদি পুলিস ব্যবস্থা না নেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে রাজ্য ব্যবস্থা নেবে। আগামী ২ মাস সময় দিলাম।।যদি কোনও দুর্নীতি বা খুন খারাপির মতো অভিযোগ থাকে। তা জানানোর জন্য দিদিকে বলো-র ধাঁচে হবে হেল্পলাইন।
রামপুরহাটের ঘটনায় বড় ষড়যন্ত্র করে করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মমতা। তিনি বলেন, সিবিআইকে সব সহযোগিতা করব। কিন্তু সিবিআই বিজেপি, কংগ্রেসের কথা মতো কাজ করলে আমরা রাস্তায় নামব। তিনদিন আগে দশজন আগুনে পুড়ে মারা গেল। খুন মানে খুন, মৃত্যু মানে মৃত্যু। বিহার থেকে দেহ এল। কেরল থেকে চার জনের দেহ এল। একটা আলোচনা হল না। খুন হল টিএমসি। যাদের বাড়িতে আগুন লাগল তারাও টিএমসি। এখন আমাকেই গালাগাল দিয়ে যাচ্ছে। হ্যাঁ, পুলিসের ভুল ছিল প্রথমে। একটা খুনের পরে ওদের আশঙ্কা করার কথা ছিল। পুলিসকে সাসপেন্ড হয়েছে। ব্লক সভাপতি সহ অনেকে গ্রেফতার হয়েছে। ওই পরিবারগুলোর সাথে আমি কথা বলেছি। লখিমপুর, উন্নাও, আসাম কটা বিচার হল? কোনও বিচার পেয়েছেন? ত্রিপুরায় আমাদের দল মিটিং করতে গেলে আমাদের গাড়ি ভাঙে, মারধর করে, জেলে ঢোকায়। হাথরস, দিল্লি কোথাও আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নোবেল থেকে নন্দীগ্রাম, নেতাই সিবিআই কিছু করতে পারেনি। এই সবের বিচার হয়নি। টিএমসি কাজ করছে তাই ওদের সহ্য হচ্ছে না। ওষুধের দাম আবার বাড়িয়ে দিয়েছে। আবার গ্যাসের দাম বেড়েছে৷ ইউপিতে জিতেই আবার বাড়িয়ে দিয়েছে। রিটার্ন গিফট। জ্বালানি, ওষুধ সব দাম বাড়িয়ে দিলেন। এগুলো যাতে মানুষ মনে না রাখে তাই এইসব কাজ করানো হয় টিভি দিয়ে। ডেডবডির রাজনীতি করছো! আমরা বিরোধী দল ছিলাম। ডেউচা পাঁচামি যাতে না হয় তাই রামপুরহাট করে দিয়েছেন। তাজপুরে বন্দর হচ্ছে তাই এত হিংসা। উত্তরেও শিল্প বাড়ছে। আসল উদ্দেশ্য যাতে শিল্প না হয়, চাকরি না হয়। যাতে জ্বালানির মূল্য বাড়লে মানুষ প্রতিবাদ না করতে পারে৷ তাই এতসব।
আরও পড়ুন-মে-জুনেই জিটিএ-র নির্বাচন! পাহাড়ের দলগুলির সঙ্গে কথা বলবেন মমতা