নিজস্ব প্রতিবেদন: ৯ জুলাই থেকে ফের বজ্র আঁটুনি রাজ্যে। উর্ধ্বমূখী করোনা গ্রাফ, কাজেই বাংলায় সংক্রমণ ঠেকাতে শুধু কনটেনমেন্ট জোনই নয়, বাফার জোনেও লকডাউন কড়াকড়ি করার নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। এ ক্ষেত্রে কনটেনমেন্ট জোনের অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে বাফার জোনগুলিকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার প্রকাশিত নির্দেশিকা অনুযায়ী, ৯ জুলাই বিকেল ৫টা থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য জারি থাকবে লকডাউন। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সমস্ত কাজ বন্ধ থাকবে এই এলাকাগুলিতে। বন্ধ থাকবে সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি অফিস। 


আরও পড়ুন:  মুখে মাস্ক ছাড়াই রাস্তায়, আটক ৩০, মামলা দায়ের ৫০ জনের বিরুদ্ধে


ইতিমধ্যে রাজ্য প্রশাসনের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাতটি জেলা। সেগুলো হল  কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, শিলিগুড়ি, মালদা এবং দুই চব্বিশ পরগনা। সোমবার এই সব জেলার জেলা শাসকদের কাছে লকডাউন নিয়ে প্রস্তাব পাঠাতে বলেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। সেই অনুযায়ী জেলাগুলি নিজেদের এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পাঠিয়েছে নবান্নে।


অন্যদিকে নবান্ন সূত্রের খবর, এই সপ্তাহের মধ্যেই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন। তা নির্দেশিকা আকারে প্রকাশ করবেন মুখ্যসচিব। তবে শুধু উত্তর চব্বিশ পরগনা নিয়ে আলাদা করে সিদ্ধান্ত হবে না। চিহ্নিত জেলাগুলো নিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া  হবে।


হঠাৎ করে লকডাউন ঘোষণা না করে দুদিন ধরে প্রচার করা হবে এবং সঙ্গে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। ১৪ দিনের লকডাউনের প্রস্তাব থাকলেও ১০ দিন পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে  তারপর। তবে, তার আগে কনটেনমেন্ট জোনকে আরও বৃদ্ধি করে সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে হাঁটতে দেখা গেল রাজ্যকে।