Coromandel Express Accident: বিয়ে করেছিলেন গোপাল, অনুষ্ঠানের টাকা জোগাড়ে কেরালা যাচ্ছিলেন, করমণ্ডলে উঠে.....
Coromandel Express Accident: গোপালের মা বলেন, থানা, পুলিস, হাসপাতাল কেউ কোনও খোঁজ দিতে পারছে না। ছেলের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেছি কিন্তু খোঁজ পাইনি। বালেশ্বর হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ নিলে বলে চিকিৎসা হয়েছে সেখানে
বিধান সরকার: বালাসোর, কটক, ভুবনেশ্বরের এমন কোনও হাসপাতাল নেই যে তারা খোঁজ করনেনি। অজানা জায়গায় তন্নতন্ন করে ছেলেছে খুঁজেছেন মা পার্বতী হেমব্রম ও স্ত্রী রূপা। গোপালের কোনও হদিস করতে পারেননি। শেষপর্য়ন্তা তাঁরা ফিরে এসেছেন হুগলিতে তাদের হরিপালের বাড়িতে। করমণ্ডল একপ্রসে দুর্ঘটনায় এত মৃত্যুর পর এখনও কোনও একটা খবরের অপক্ষায় দিন গুনছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-ভোট ঘোষণার পরেই মনোনয়নের দিন ধার্য, মানুষকে বাঘের মুখে ফেলে দিল: সুজন
হরিপালের অলিপুর কাশীপুর অঞ্চলের পানিশেওয়ার আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা গোপাল হেমব্রম(২২)। করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চড়ে কেরালা যাচ্ছিলেন কাঠের কাজ করতে। গোপাল যে আহত হয়েছেন তা নথিভূক্ত রয়েছে বালেশ্বরের একটি হাসপাতালে। কিন্তু এখনও তার কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না পরিবারের লোকজন। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের এস ১ কামরায় ছিলেন গোপাল। ওই দুর্ঘটনায় তাঁর সঙ্গে ছিলেন অতনু কিস্কু, রহিত হেমব্রম ও তাপস কিস্কু। তারা সবাই আহত হন। কিন্তু গোপালের আঘাত ছিল বেশি।
গোপালের সফরসঙ্গী অতনু জানান, দুর্ঘটনার পর গোপালকে কামরায় আটকে থাকতে দেখেছিলেন তারা। উদ্ধারকারী দলকে তাঁকে বের করে আনার অনুরোধ করেন। কিন্তু তাদের হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ফলে আর গোপালকে দেখতে পাননি তারা। জানা যাচ্ছে গোপালকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে নিয়ে যায় উদ্ধারকারী দল। সেইসময় নিজের নাম ঠিকানা বলেছিল গোপাল। সেখান থেকে বালেশ্বরের একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু আজ পর্যন্তা তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দুর্ঘর্টনার পরদিন ভোরে বালেশ্বরে ঘটনাস্থলে পৌঁছল সোপালের স্ত্রী রূপা ও মা পার্বতী। টানা পাঁচদিন কটক, বালেশ্বর, ভুবনেশ্বরের একাধিক হাসপাতাল খুঁজে তারা গোপালকে কোথাও পাননি। শেষপর্যন্ত হরিপারে ফিরে এসেছেন।
গোপালের মা বলেন, থানা, পুলিস, হাসপাতাল কেউ কোনও খোঁজ দিতে পারছে না। ছেলের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেছি কিন্তু খোঁজ পাইনি। বালেশ্বর হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ নিলে বলে চিকিৎসা হয়েছে সেখানে। কম্পিউটারেও নথিভুক্ত আছে। তারা জানায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছিল তাতে চলে গেছে কিনা খোঁজ নিতে। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নেওয়া হয়েছিল সেখান থেকে বলা হয় গোপাল হেমব্রম নামে কেউ ভর্তি নেই। গ্রামে কাজ নেই। বিয়ে করেছেন দেড় বছর আগে। এখনও অনুষ্ঠান হয়নি। কিছু টাকা জমিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা ছিল গোপালের। তাই কাজে যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। সেই ছেলের কোনও খোঁজ নেই। হাসপাতালের মর্গে গিয়েও খোঁজ নিয়েছেন বলে জানান গোপালের মা। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য রক্ত দিয়ে এসেছেন হাসপাতালে। গোপালের ঠাকুমা বলেন, ভালো হোক বা মন্দ নাতির একটা খবর চাই।