নিজস্ব প্রতিবেদন: গোটা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও হুহু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮,৪১৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। গোটা দেশে আক্রান্ত দেড় কোটি মানুষ। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৬ দিন লকডাউন ঘোষণা করেছে দিল্লি সরকার। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিমত, লকডাউন, নাইট কার্ফু করে কোনও সমাধান হয় না। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মালদহে এক সাংবাদিক সম্মেলনে আজ মমতা বলেন, এখনই লকডাউন(Lockdown) নিয়ে চিন্তাভাবনার কোনও কারণ নেই। নাইট কার্ফুও(Night Curfew) কোনও সমাধান নয়। এই যে দিল্লিতে লকডাউন করে দিয়েছে, মানুষের কষ্ট হবে না? মানুষকে তো একটা সময় দিতে হবে।  লকডাউন করলেই কি সব কমে যাবে? ট্রেন চলছে, বাস চলছে, লোক মুভ করছে। আরে লাখের বেশি লোক থেকে বাইরে থেকে প্রচার করতে এসেছে। এত লোক কেন বাইরে থেকে এসে বসে থাকবে? রাজ্য সরকার তো তাদের বের করে দিতে পারে না! তাদের কী হয়েছে না হয়েছে আমি কী করে জানব! প্রধানমন্ত্রী সভার প্যান্ডেল করতে আসে বাইরের লোক। শুনেছিলাম তাদের ১৫ জনের নাকি কোভিড হয়েছে। রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেড় লাখ জওয়ান এসেছেন। এদের RT-PCR Test মাস্ট। আগের বারই দেখেছিলাম, একজন পুলিসের Covid হওয়া মানে হাজার জন সংক্রমিত হওয়া। ওরা টিম হিসেবে কাজ করেন।


আরও পড়ুন-Covid 19: রাজ্যের সব স্কুল বন্ধ থাকবে, আসতে হবে না শিক্ষকদেরও, ঘোষণা রাজ্য সরকারের


রাজ্যের এই করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যে কোনও টিকা(Covid vaccine) দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ কেন্দ্র কোনও টিকা দিচ্ছে না। মমতা(Mamata Banerjee) বলেন, রাজ্যে কোভিড ভ্য়াকসিন নেই। এনিয়ে গতকালই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। উনি কোনও উত্তর দেননি। কেন্দ্র অনুমতি দিলেই একমাত্র রাজ্য ভ্যাকসিন কিনতে পারবে। রাজ্য চাইলেই ভ্যাকসিন কিনতে পারে না। তাই একটা কথা স্পষ্ট যে ভ্যাকসিন আমাদের হাতে নেই। জরুরি ভিত্তিতে বাজার থেকে ভ্যাকসিন আনতে হচ্ছে। অক্সিজেন আনা হচ্ছে। কিন্তু ভ্য়াকসিন নেওয়ার পরও করোনা হচ্ছে শুনছি।


করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে রাজ্য কতটা তৈরি? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে দ্রুত করোনা ছড়াচ্ছে। তবে আতঙ্কিত হবেন না। Covid মোকাবিলায় টাস্কফোর্স তৈরি করা হয়েছে। রাজ্য সরকার সব পদক্ষেপ নিয়েছে। কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছি যাতে ভ্য়াকসিন ও অন্যান্য ওষুধপত্র দেওয়া হয়।  গত ৪ দিনে ১ হাজার বেড বাড়ানো হয়েছে।  আরও ৪,৫০০ বেড ৩-৪ দিনের মধ্যে বাড়ানো হবে। করোনার জন্য় ১০০ হাসপাতাল রেডি করা হচ্ছে। এর জন্য নার্সিং হোমও নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন হোটেলের রুমকেও হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হবে।  স্বাস্থ্যভবন থেকে ইতিমধ্যেই ট্রিটমেন্ট প্রটোকল প্রকাশ করা হয়েছে। আগের বার যত বেড ছিল তার থেকে কিছু বেড বাড়ানো হচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে অনুরোধ করব, যাদের প্রকৃত প্রয়োজন রয়েছে তাদের ভর্তি নিন। সবাইকে ভর্তি করে বেড দখল করে রাখবেন না। টাকা আছে বলেই ভর্তি হয়ে গেলাম। এমন কেউ যেন না করেন।


আরও পড়ুন- কয়লা চুরিতে প্রসিদ্ধ বর্ধমান, বিনয় মিশ্রকে ধরলেই ময়দানে নামে ভাইপো: অমিত


মমতা আরও বলেন, করোনা মোকাবিলায় এই ভোটের মধ্যেও ২০০ সেফ হোম তৈরি করা হয়েছে। ওইসব সেফ হোমে ১১,০০০ বেড রয়েছে। করোনার জন্য রাজ্যজুড়ে ৪০০ অ্যাম্বুল্যান্সকে কাজে লাগানো হয়েছে।  চালু হয়েছে টেলি মেডিসিন পরিষেবা।  ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২ নম্বরে ফোন করলে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। অডিয়ো ভিজুয়াল কাউন্সেলেলিং হচ্ছে।  রাজ্যের বিভিন্ন অফিসে ৫০ শতাংশ ওয়ার্ক ফ্রম হোম(Work From Home) করা হচ্ছে।  রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে কাল থেকে গ্রীষ্মের ছুটি পড়ে যাচ্ছে। ফলে গরমের ছুটিও পাওয়া যাবে, পাশাপাশি করোনা থেকেও পড়ুয়ারা বাঁচবে।