লকডাউনে তত্পর পুলিস; জেলা-কলকাতায় অভিযুক্ত কয়েকশো, কোথাও তাড়া খেয়ে পুকুরে ঝাঁপ বিধিভঙ্গকারীর

লকাতায় দুপুর বারোটা পর্যন্ত গ্রেফতার বা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ২০৪ জনের বিরুদ্ধে।

Edited By: সিকান্দর আবু জ়াফর | Updated By: Jul 25, 2020, 04:22 PM IST
লকডাউনে তত্পর পুলিস; জেলা-কলকাতায় অভিযুক্ত কয়েকশো, কোথাও তাড়া খেয়ে পুকুরে ঝাঁপ বিধিভঙ্গকারীর

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ। সেকথা মাথায় রেখে রাজ্যে এসপ্তাহে ৩ দিন সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সকাল থেকে কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় তত্পর পুলিস। লকডাউন বিধি না মানায় কলকাতায় কয়েকশো লোকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিস।

# সকালেই তিলজলা থানা এলাকায় বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য় একটি গাড়িকে আটক করার চেষ্টা করে পুলিস। সেই গাড়ি তন্ময় দাস নামে এক কনস্টেবলের পায়ের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয়। গাড়ির চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-এখনই সম্পূর্ণ লকডাউনের কোনও পরিকল্পনা নেই, জানালেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী

# কলকাতায় দুপুর বারোটা পর্যন্ত গ্রেফতার বা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ২০৪ জনের বিরুদ্ধে। একটি গাড়িও আটক করা হয়েছে। মাস্ক না পরার জন্য অভিযুক্ত ১৮২ জন। রাস্তায় যত্রতত্র থুথু ফেলার জন্য অভিযুক্ত ২০।

# সকাল আটটা নাগাদ গোয়া থেকে আগত ২৯ জন শ্রমিকের গাড়ি আটকে দেয় বাগুইআটি ট্রাফিক গার্ড।

# লকডাউন থাকলেও আজ সকালে লেকটাউনের রাস্তায় বাজার বসে যায়।

# লকডাউন চললেও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা, ডাকঘর, মেমানপুর এলাকায় দিব্বি মানষজনকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।

# সকাল থেকেই হুগলি জেলার নানা প্রান্তে লকডাউন সফল করতে পুলিশি তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। নাকা চেকিং থেকে শুরু করে মাইকিং সবই করা হয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। রাস্তাঘাটে যারা বেরিয়েছিলেন তাদের উপযুক্ত কাগজপত্র ছাড়া ব্যক্তিদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়ি। প্রয়োজনে আটক করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের তরফে ভালো সাড়া পাওয়া গেছে, আশা করা যাচ্ছে এই সচেতনতা আগামী ২৯ তারিখের লকডাউনেও লক্ষ্য করা যাবে, এমন তাই জানালেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের DC বিশপ সরকার।

# লকডাউন ভাঙায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১১৮ জন আটক চন্দননগর কমিশনারেট এলাকায়।

আরও পড়ুন-করোনা পজিটিভ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান

#  সাপ্তাহিক লকডাউনের ২য় দিনে বহরমপুর শহরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াল  পুলিশ। রাস্তা ঘাটে কোন কারণ ছাড়াই কাউকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে  ধরপাকড় পুলিশের। পুলিশের তাড়া খেয়ে কেউ সাইকেল নিয়ে ঝাঁপ দিলেন  কচুরিপানার ডোবায়। এদিন অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার অনিশ সরকারের নেতৃত্বে উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্তারা বহরমপুর জুড়ে  অভিযানে নামেন। শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে মোড়ে মোড়ে চলে নজরদারি। বাইক চালক থেকে সাইকেল চালক, কি কারনে রাস্তায়  বেরিয়েছে, সঠিক নথি দেখাতে না পারলেই আটকায় পুলিশ। বহরমপুর শহরেই আটক করা  হয় ৪৬ জনকে।

.