নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা ধাক্কায় বেসামাল অর্থনীতি সামাল দিতে এমপি ল্যাডের বরাদ্দ ২ বছর বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি সাংসদদের বেতন ৩০ শতাংশ কেটে নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-করোনা রুখতে সরকারে পাশে, আগামিকাল মমতা সঙ্গে বৈঠকে বাম প্রতিনিধি দল


সোমবার টুইট করে সৌগত মন্তব্য করেছেন, ‘২ বছরের জন্য এমপি ল্যাডের বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছি। এতে সরকারের খামখেয়ালিপনা ধরা পড়ছে। এই সিদ্ধান্ত একবারেই অগণতান্ত্রিক।’



সৌগতর যুক্তি দীর্ঘদিন সাংসদ রয়েছি। প্রধানমন্ত্রী কারও সঙ্গে কোনও যুক্তি না করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এলাকার উন্নয়ন সাংসদদের খরচ করতে হয়। সেই টাকা দেওয়ার কী যুক্তি রয়েছে! সাংসদরা ইতিমধ্যেই করোনা মোকাবিলায় টাকা দিয়েছে। তারপরেও এই সিদ্ধান্ত কেন!


কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অধীর চৌধুরীও। তিনি টুইট করেন, ‘এমপি ল্যাডের টাকা বন্ধ করে দেওয়ার অর্থ জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের ওপরে অবিচার করা। এলাকার চাহিদা অনুযায়ী ওই টাকা খরচ করেন সাংসদরা।’




উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস নির্ণয় ও প্রয়োজনীয় চিকিত্সার জন্য অনুদান দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ২২ সাংসদ। এঁরা নিজেদের এমপি ল্যাডের টাকা থেকে অর্থ জমা দিয়েছেন নিজেদের জেলার ডিএমদের কাছে। এমনটাই জানা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।


আরও পড়ুন-করোনায় আর্থিক ক্ষতি থেকে রাজ্যকে টেনে তুলতে নোবেলজয়ীর নেতৃত্বে গ্লোবাল বোর্ড : মুখ্যমন্ত্রী


জানা গিয়েছে, ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে করোনা চিকিত্সায় দিয়েছেন ৫০ লাখ টাকা। তালিকায় রয়েছেন মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান, আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, চৌধুরী মোহন জাটুয়া প্রমুখ। কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের সাংসদ মালা রায় দিয়েছে ১.১ কোটি টাকা। জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল ও কলকাতা উত্তরের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন ১ কোটি টাকা করে।


উল্লেখ্য, সবেমিলিয়ে জমা হয়েছে ১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এলাকায় করোনা মোকাবিলায় যেসব কাজে হাত দেওয়া হবে সেখানেই খরচ হবে ওই টাকা।