Couple Die In Electrocution: তৃণমূল নেতার পুকুরে পাতা মরণফাঁদ! সাতসকালে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু দম্পতির
ঝাড়খণ্ড লাগোয়া এই জায়গায় বহু আদিবাসী মানুষের বসবাস। এখন সেখানে শুরু হয়েছে বাদনা পরব। সেই উত্সবের আবহেই ঘটে গেল এমন মর্মান্তিক ঘটনা। পুলিস সূত্রে খবর পুকুরে যে বিদ্যুতের তার বিছিয়ে রাখা হয়েছে সেই খবর তাদের কাছে ছিল না
চম্পক দত্ত: পুকুরেই তৈরি ছিল মরণফাঁদ। সাতসকালে প্রাতঃকৃত্য করতে গিয়ে পুকুর পাড়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয় মৃত্যু হল এক দম্পতির। বুধবার সকালে মর্মান্তিক ওই ঘটনা ঘটেছে মেদিনীপুর ব্লকের মোরখা গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাছ চুরি রুখতে পুকুরপাড়ে বিদ্যুতের তার বিছিয়ে রেখেছিল পুকুর মালিক। সেই তারে ছোঁয়া লেগেই মৃত্যু হয়েছে মুঙ্গলী মান্ডি ও বাপি মান্ডির। এনিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। ঘটনার পর থাকেই পলাতক পুকুর মালিক। তার বাড়ি ভাঙচুর করে গ্রামের মানুষ।
আরও পড়ুন-জয় এখনও অধরা, ভবানীপুরের কাছে দুই গোলে হেরে গেল লাল-হলুদ
পুকুরমালিক স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ও এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা। মাছ চুরি আটকাতে তিনি পুকুরের চারদিকে তার দিয়ে তাতে বিদ্যুতের সংযোগ করে দেন। পুকুরের পাড়ে একটি বক্স দেখা গিয়েছে। সেখান থেকেই বিদ্যুতের সংযোগ নেওয়া হতো। গ্রামবাসী সূত্রে খবর, আজ ওই দম্পতির মৃত্যুর খবর পেয়ে পুকুরপাড়ে আসে ওই পুকুরমালিক। তিনি এসে ওই হাইভোল্টেজ তার গুটিয়ে নিয়ে চলে যান। কিন্তু মৃতদেহ তোলা বা পুলিসকে কোনও খবর দেননি।
গ্রামবাসীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই পুকুরে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া রয়েছে। এনিয়ে তারা কিছু বলতে পারছিলেন না। কারণ ওই ব্যক্তি তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা। যে পুকুরটিতে আজ ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে শুধু সেই পুকুরই নয়, এরকম আরও অনেক পুকুরে মাছ চাষ করেন ওই তৃণমূল নেতা। সেইসব পুকুরেও একইভাবে তার দিয়ে বিদ্যুত্ সংযোগ করে রাখেন। যে পুকুরে নামতে গিয়ে আজ এক দম্পত্তির মৃত্যু হয়েছে সেখানে চারদিকে রেয়েছে ধানি জমি। ফলে চাষবাস করতে এসেও ওই পুকুরে নামার সম্ভাবনা থেকেই যায়। তারপরেও স্রেফ রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে ওই নেতা এমন কাণ্ড করতেন বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
এদিকে, ঝাড়খণ্ড লাগোয়া এই জায়গায় বহু আদিবাসী মানুষের বসবাস। এখন সেখানে শুরু হয়েছে বাদনা পরব। সেই উত্সবের আবহেই ঘটে গেল এমন মর্মান্তিক ঘটনা। পুলিস সূত্রে খবর পুকুরে যে বিদ্যুতের তার বিছিয়ে রাখা হয়েছে সেই খবর তাদের কাছে ছিল না। গ্রামবাসীদের কেউ এনিয়ে কোনও অভিযোগ করেননি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বিডিও-সহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্তারা। তাদের সামনেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, দোষী ব্যক্তির শাস্তি চাই।