CBI Interrogates Anubrata: আসানসোলের জেলে ১৫ প্রশ্ন সিবিআইয়ের; মুখে কুলুপ কেষ্টর, নীরব সায়গলও
জেল সূত্রে খবর, অনুব্রত যে জমি, রাইস মিল, ফ্ল্যাট, রিসর্টের হদিস পাওয়া য়াচ্ছে ব্যাঙ্কে যে টাকা রয়েছে তার সূত্র কী, এনিয়ে প্রশ্ন করা হয় অনুব্রতকে। তাঁর আইনজীবীর দাবি, ব্যাঙ্ক থাকা টাকা নিয়ে মাথা ঘামাবে আয়কর দফতর
বাসুদেব চট্টোপাধ্য়ায়: গোরুপাচার মামলায় ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশের পর এখন আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারেই ঠাঁই হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। আর সেখানেই রয়েছে তার প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের। জেল হেফাজতের পর এই প্রথম জেলে এসে তাদের জেরা করলেন সিবিআইয়ের এক আধিকারিক। কিন্তু মুখ কুলুপ অনুব্রতর। আর দাদার দেখানো পথেই হাঁটলেন তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। উল্লেখ্য, গ্রেফতার হওয়ার পর অনুব্রতর কাছ থেকে বিশাল কিছু সম্পত্তির হদিস পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই অনুব্রতর একের পর এক জমির হদিস পাওয়া যাচ্ছে। সেইসব বিষয় জানতেই আজ আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারের আসেন সিবিআইয়ের এক আধিকারিক। প্রথমে সায়গলকে এবং পরে ১৫টি করে প্রশ্ন করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে।
আরও পড়ুন-সৎ ছেলেকে টাকা না দিলেই চাকরি থেকে বরখাস্ত! সৎ মা-কে কড়া নির্দেশ আদালতের
এখনওপর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, সায়গল হোসেন, আব্দুল লতিফের যে পরিমাণ জমির হদিস পাওয়া গিয়েছে তা নিয়েই দুজনকে প্রশ্ন করা হয় বলে খবর। কিন্তু বীরভূম জেলা সভাপতি সেই ১৫টি প্রশ্নের বাউন্সার ডাক করে গিয়েছেন। আরও খবর হল, অনুব্রতর পথে হেঁটেই সিবিআই আধিকারিকের কাছে মুখ খোলেননি সায়গল হোসেনও। সিবিআই হেফাজতে থাকার সময়েও অনুব্রত কোনও সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। গোরুপাচার মামলায় সরকারি আইনজীবী রাকেশ কুমার ও কালীচরণ মিশ্রও আদালতকে বারবার দাবি করেছেন অনুব্রত কিংবা সায়গল কেউই সিবিআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না। মঙ্গলবার আসানসোল জেল হেফাজতে সেই চিত্রই দেখা গেল।
এদিকে, আাগামী ১ সেপ্টেম্বর সল্টলেকে ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের শুনানি রয়েছে। সম্ভবত সেদিন অনুব্রত মণ্ডলকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হবে। তোলা হবে বিধাননগর আদালতে। শরীর যদি ভালো থাকে তবেই অনুব্রত মণ্ডল কলতাতায় যাবেন বলে জেল সূত্রে জানা যাচ্ছে।
জেল সূত্রে খবর, অনুব্রত যে জমি, রাইস মিল, ফ্ল্যাট, রিসর্টের হদিস পাওয়া য়াচ্ছে ব্যাঙ্কে যে টাকা রয়েছে তার সূত্র কী, এনিয়ে প্রশ্ন করা হয় অনুব্রতকে। তাঁর আইনজীবীর দাবি, ব্যাঙ্ক থাকা টাকা নিয়ে মাথা ঘামাবে আয়কর দফতর। তা সিবিআইয়ের বিষয় নয়। কিন্তু সিবিআইয়ের বক্তব্য, ওই টাকার উত্স কী। এর কোনও উত্তর অনুব্রতর কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট অনুব্রত মণ্ডলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠায় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। অনুব্রত মণ্ডল একজন প্রভাবশালী মানুষ এই যুক্তি দেখিয়ে জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই। পাল্টা এনিয়ে অনুব্রতর আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় সওয়াল করেন, রাজ্যে ক্ষমতায় নেই কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল। তাই এসব করা হচ্ছে। গোরু পাচারের সঙ্গে সরাসরি অনুব্রতর কোনও যোগসাজসের প্রমাণ পাওয়া য়ায়নি। বিদেশে গোরু পাচার হলে তার জন্য বিএসএফ রয়েছে। আদালতে জানানোর আগে সিবিআই মিডিয়াকে সবকিছু জানিয়ে দিচ্ছে। সিবিআইয়ের ভূমিকা স্পষ্ট। গোরু দেশের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ায় কোনও বাধা নেই। ভারত থেকে বাংলাদেশে গেলে তা বেআইনি। গোরুপাচারে জড়িত নন অনুব্রত। এফআইআর-এ তার নাম নেই। আজ বলা হয়ে দেশের রাজ্যগুলির মধ্যে গোরু চলাচল ও পরিবহনে কোনও বাধা নেই। তাহলে এনিয়ে অনুব্রত কীভাবে দায়ী হতে পারেন।