Bangaon: পটলক্ষেতে কাজ করছিলেন, বাজ পড়ে নিজের জমিতেই মৃত্যু কৃষকের...
Bangaon: নেপালের একচালার ঘরে ছোট্ট সংসার। রোজগার বলতে চাষাবাদ। জমিতে ফসল ফলিয়েই সংসার চলত। আজ নিজের সেই বড় সাধের চাষের জমিতেই বাজ পড়ে মৃত্যু ঘটল তাঁর। এই ঘটনায় মন ভার করে গোটা এলাকার। শুধু তাঁর স্ত্রী-পরিবার নন, নেপালের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না পাড়া-প্রতিবেশী স্বজন-বন্ধু কেউই।
মনোজ মণ্ডল: দিনের বেশিরভাগ সময়টা চাষের জমিতে কাটান তিনি। আজ, রবিবারও তাঁর একই রুটিন। জমিতে পটল-পাট নিয়ে চাষাবাদে ব্যস্ত ছিলেন নেপাল হালদার। কাকভোরে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রী ময়নাকে নিয়ে জমিতে পটলের ফুল ছোঁয়াতে গিয়েছিলেন নেপাল। স্ত্রী ময়না খানিক বাদে জমি থেকে বাড়িতে ফিরলেও জমি থেকে নেপালের আর বাড়ি ফেরা হল না। বজ্রাঘাতে মৃত্যু ঘটল তাঁর।
ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা থানার বর্ণবেড়িয়া এলাকায়। আজ সকালে নিজের চাষজমিতেই এই মর্মান্তিক মৃত্যু হল বছর আটত্রিশের নেপালের।
স্ত্রী ময়না তাঁদের ছোট ছোট দুই সন্তানকে আঁকড়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। এমন মৃত্যু তিনি কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না! নেপালের স্ত্রী জানান, ভোরে তাঁরা এক সঙ্গেই জমিতে গিয়েছিলেন। পটলক্ষেতে ফুল ছোঁয়ানোর পরে তিনি চলে আসেন। নেপাল তখনও পাটের জমিতে বীজ ছড়াচ্ছিলেন। ময়না বাড়ি আসার কিছুক্ষণ পরেই জমি থেকে নেপালের বন্ধুদের ফোন আসে। ফোনে তাঁরা জানান, বাজ পড়ে নেপালের মৃত্যু হয়েছে! পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, জমির ফসল ভ্যানে করে হাটে নিয়ে গিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে দিনপনেরো আগে একটি ভ্যানও কিনেছিলেন নেপাল।
নেপালের একচালার ঘরে ছোট্ট সংসার। রোজগার বলতে চাষাবাদ। জমিতে ফসল ফলিয়েই সংসার চলত। আজ নিজের সেই বড় সাধের চাষের জমিতেই বাজ পড়ে মৃত্যু ঘটল তাঁর। এই ঘটনায় মন ভার করে গোটা এলাকার। শুধু তাঁর স্ত্রী-পরিবার নন, নেপালের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না পাড়া-প্রতিবেশী স্বজন-বন্ধু কেউই।