লোকাল ট্রেন চালুর দাবি, পুলিসের গাড়ি ভাঙচুর, রেল অবরোধ একাধিক স্টেশনে
সোনারপুর ছাড়াও শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার সোনারপুরের মল্লিকপুর, ঘুটিয়ারিতেও রেল অবরোধ চলছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বুধবারের পর আজও সোনারপুর স্টেশনে লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে রেল অবরোধ নিত্যযাত্রীদের। সোনারপুর ছাড়াও শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার সোনারপুরের মল্লিকপুর, ঘুটিয়ারিতেও রেল অবরোধ চলছে। মল্লিকপুরে পুলিসের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে অবরোধকারীদের বিরুদ্ধে। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তির খবরও সামনে আসে।
রেস্তঁরা, বার চালু হতে পারলে লোকাল ট্রেন কেন নয়। সরকার ট্রেন চালানোর অনুমতি না দিলে না খেয়ে মরতে হবে তাঁদের। এই দাবিতে দীর্ঘক্ষণ রেল অবরোধ করেন তাঁরা। ক্রমেই রেল অবরোধ ঘিরে ধুন্ধুমার বাধে। মল্লিকপুরে জিআরপিএফের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
প্রাথমিকভাবে, সোনারপুরে অবরোধ শুরু হলেও ক্রমে বারুইপুর, ক্যানিং-সব একাধিক স্টেশনে ছড়িয়ে পড়ে। যার জেরে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় আপ-ডাউনের সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রায় ৩ ঘণ্টার উপরে বন্ধ রেল।
আরও পড়ুন, ভুয়ো পরিচয় নিয়ে আর কী কী কাণ্ড ঘটিয়েছে? কসবার ঘটনায় তদন্তে ডিডি
পুলিস অবরোধকারীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অবরোধ তোলার চেষ্টা করেছেন। বিভিন্ন স্টেশনে বিক্ষোভ তোলা সম্ভব হবেও মল্লিকপুরে পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত মল্লিকপুরে অবরোধকারীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনায় যেতে পারেনি পুলিস।
প্রসঙ্গত, বাংলায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় বন্ধ করা হয় লোকাল ট্রেন পরিষেবা। পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব শাখায় একাধিক রেলকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। যার জেরে ট্রেনের সংখ্যাও কমাতে হয়েছিল। তারপর সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয় লোকাল ট্রেন পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে রেল। কিন্তু, সাধারণ নিত্যযাত্রীরা স্পেশাল ট্রেনে ওঠার অনুমতি পাননি। ফলে তাঁরা চরম সমস্যায় পড়েছেন। বুধবার সকালে সোনারপুরে অবরোধের মাধ্যমে সেই ক্ষোভ আরও একার প্রকাশ্যে এসে পড়ল।