কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ায় ডিভোর্সের নোটিস পেল `মা`
তাঁর অপরাধ তিনি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। স্রেফ এই কারণে মানিকচকের এক গৃহবধূকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিস পাঠানোর অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। আতান্তরে পড়ে পুলিসের কাছে সাহায্য চাইতে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। অভিযোগ, মহিলা থানার অফিসারও তাঁকে বিবাহ বিচ্ছেদের রাস্তায় হাঁটার পরামর্শ দেন।
ওয়েব ডেস্ক: তাঁর অপরাধ তিনি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। স্রেফ এই কারণে মানিকচকের এক গৃহবধূকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিস পাঠানোর অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। আতান্তরে পড়ে পুলিসের কাছে সাহায্য চাইতে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। অভিযোগ, মহিলা থানার অফিসারও তাঁকে বিবাহ বিচ্ছেদের রাস্তায় হাঁটার পরামর্শ দেন।
কন্যা সন্তান রক্ষায় প্রচার অনেক। কিন্তু কাজ যে বহু বাকি কিছু ঘটনা নতুন করে মনে করিয়ে দেয়। মালদার মানিকচকের মোহনা গ্রামের বাসিন্দা মৌসুমী বসাক। দেড় বছরের কন্যা সন্তানকে নিয়ে রোদ মাথায় প্রশাসনের এক দরজা থেকে আরেক দরজায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি।
আড়াই বছর আগে ইংরেজবাজার থানার বাঙালটুলি এলাকার প্রদীপ্ত বসাকের সঙ্গে বিয়ে হয় মৌসুমীর। প্রথম সন্তান হওয়ার সময় বাপের বাড়ি এসেছিলেন। আর ফেরা হয়নি। অভিযোগ, কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার অপরাধে বৌমাকে আর ঘরে তোলেনি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। একবার যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অভিজ্ঞতা ভাল নয়।
মেয়ের বয়স এখন দেড় বছর। মৌসুমীর দিন কাটছে বাপের বাড়িতেই। অভিযোগ, এক সপ্তাহ আগে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিস পাঠায় শ্বশুরবাড়ি। বাধ্য হয়ে পুলিসের কাছে যান মৌসুমী। অভিযোগ, মালদা জেলা মহিলা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ভানুমতী রজক তাঁর অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। এমনকি বিবাহ বিচ্ছেদের পরামর্শ দেন বলে অভিযোগ।
এবিষয়ে ভানুমতী রজককে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, যা বলার পুলিস সুপার বলবেন। আর পুলিস সুপারের বক্তব্য, এখনই এবিষয়ে কোনও মন্তব্য নয়। মৌসুমীর সামনে শুধুই একরাশ অন্ধকার। (আরও পড়ুন- ভদ্রেশ্বরে গঙ্গার জোয়ারে ভেসে গেল জেটি, মৃত ৩, নিখোঁজ কমপক্ষে ৬০)