নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রসবের পর সদ্যজাতকে দেখতে এলেন না চিকিত্সক। মহিলা সাফাইকর্মী জানালেন শিশু মৃত। তুলে দেওয়া হল পরিবারের হাতে। তখনই বাড়ির লোকের কোলে নড়েচড়ে উঠল শিশু। বিপদ বুঝে রেফার করল হাসপাতাল। কিন্তু, ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে অনেকটাই। আর বাঁচানো যায়নি সদ্যজাতকে।
কর্তব্যে গাফিলতির নির্লজ্জ ছবিই মিলল দিঘা হাসপাতালে। সন্তান জন্ম দিতে দিঘা হাসপাতালে আসেন অঞ্জনা পণ্ডা। মৃত সন্তান নিয়ে ফিরতে হবে দুঃস্বপ্নে ভাবেননি। চিকিত্সক-নার্সদের গাফিলতিতে সেটাই ঘটল।
আরও পড়ুন: ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে স্বজনপোষনের অভিযোগ, পটাশপুর গ্রামে পুলিস-গ্রামবাসীর সংঘর্ষ
সকাল সাতটায় প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে যান মণ্ডলার অঞ্জনা পণ্ডা। অভিযোগ, শুরু থেকেই তাঁকে ভর্তি নিতে চায়নি হাসপাতাল। রেফারের চেষ্টা হয় কাঁথিতে। পরিবারের জোড়াজুড়িতে ভর্তি নিলেও, ফেলে রাখা হয় হাসপাতালের মেঝেতে।
আসেননি কোনও চিকিত্সক-নার্স। এভাবে পড়ে থাকতে থাকতে এক সময়ে সন্তান প্রসব করেন মা। এরপর শুরু হয় গাফিলতির আরেক পর্ব। পরিবারের অভিযোগ, প্রসবের পরও নির্বিকার চিকিত্সকরা। পাঠানো হয় মহিলা সাফাইকর্মীকে।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত লকেট চট্টোপাধ্যায়, নিজেই পোস্ট করে জানালেন বিজেপি সাংসদ
সাফাই কর্মী শিশুকে দেখে জানিয়ে দেন মৃত। তুলে দেন পরিবারের হাতে। জেঠিমার কোলে যেতেই নড়েচড়ে ওঠে শিশু। পরিবারের লোক হৈচৈ বাধাতেই টনক নড়ে। ছুটে আসেন নার্স-চিকিত্সকরা।
গাফিলতি ঢাকতে অক্সিজেন দেওয়া হয় শিশুকে। বলা হয় কাঁথি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু, আইনি মারপ্যাঁচে অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করতে কেটে যায় ঘণ্টা খানেক। অতক্ষণের ধকল সইতে পারেনি একরত্তি। মৃত্যু হয়েছে তার। গাফিলতির কথা মানছেন হাসপাতাল সুপার। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি করছেন সন্তানহারা মা।
প্রসবের পরেও এল না চিকিৎসক, দিঘা হাসপতালের চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু সদ্যজাতর