প্রদ্যুৎ দাস: জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা ব্যারাজ থেকে ছাড়া হল জল। অসুরক্ষিত এলাকায় হলুদ সংকেত নিয়ে ফুঁসছে জলঢাকা, অবিরাম বর্ষণে ব্যাহত স্বাভাবিক জনজীবন, পরিস্থতি মোকাবেলায় প্রস্তুত জেলা প্রশাসন।
দেখতে গেলে একরকম কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের দেওয়া সতর্কবার্তা অনুযায়ীই যেন চলছে প্রকৃতি!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্থানীয় আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে উত্তরের তিন জেলা জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে জারি করা হয়েছে বৃষ্টিপাত সংক্রান্ত লাল সতর্কতা। সেই মোতাবেক গত চব্বিশ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছে ৪৬ মিলিমিটার, আলিপুরদুয়ারে ১০৬.৪০ মিলিমিটার এবং শিলিগুড়িতে ২০ মিলিমিটার।


আরও পড়ুন: Jalpaiguri: এক রাতে ভেসে গেল তিন সাঁকো! যোগাযোগবিচ্ছিন্ন বিস্তীর্ণ এলাকা...


আলাদা করে জলপাইগুড়ির পরিস্থিতিও খারাপ। জেলা জুড়েও চলছে ভারী বৃষ্টি। গত চব্বিশ ঘণ্টায় মালবাজারে ২০.৫৪ মিলিমিটার, বানারহাটে ৮৭ মিলিমিটার, ময়নাগুড়িতে ৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।


এর সঙ্গে পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ওদলাবাড়িতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজে থেকে প্রায় ১৮০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গিয়েছে। একই অবস্থা ৩১ নম্বর এনএইচ সংলগ্ন জলঢাকা নদীর। সেচ দফতরের পক্ষ থেকে তিস্তা এবং জলঢাকা নদীর পার্শ্ববর্তী অসুরক্ষিত এলাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ বিপদ সংকেত। সব মিলিয়ে অতি বৃষ্টিপাতের কারণে জলপাইগুড়ি জেলার স্বাভাবিক জনজীবন দারুণ ভাবে ব্যাহত হচ্ছে গত কয়েক দিন থেকে।


আরও পড়ুন: Rath yatra: বৃষ্টি উপেক্ষা করেই দিকে দিকে রথযাত্রা লোকারণ্য মহাধুমধাম...


কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা এবং জেলা জুড়ে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা শাসক অশ্বিনী রায় জানিয়েছেন, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সিভিল ডিফেন্স বাহিনীর সঙ্গে মালবাজারে ন্যাশনাল ডিজাস্টটার রেসপন্স ফোর্সের জোয়ানদেরও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)