Jalpaiguri: এক রাতে ভেসে গেল তিন সাঁকো! যোগাযোগবিচ্ছিন্ন বিস্তীর্ণ এলাকা...
Jalpaiguri: এক রাতে ভেসে গেল তিনটি বাঁশের সাঁকো। যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে রইল জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলার তিন ব্লক। সংকটে ছ'টি গ্রাম। এদিকে আকাশে কালো মেঘ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, আরও বৃষ্টি হতে পারে। একটানা বৃষ্টি শুরু হলে ফের নদীর জল বাড়বে। তখন কী হবে?
প্রদ্যুৎ দাস: এক রাতে ভেসে গেল তিনটি বাঁশের সাঁকো। যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে রইল জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলার তিন ব্লক। সংকটে ছ'টি গ্রাম। ভুটান পাহাড় ও জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টির জেরে জলস্ফীতি ডুডুয়া নদীতে। ফলে, জলের তোড়ে ভেসে যায় পর পর তিনটি সাঁকো। যাতায়াতের সমস্যায় পড়েছেন দুই জেলার তিন ব্লকের প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Update: কবে পাকাপাকি বর্ষা ঢুকছে দক্ষিণবঙ্গে? এতদিনে স্পষ্ট করল হাওয়া অফিস...
বর্ষায় শুরুতেই এমন ঘটনায় আতঙ্কের আবহ তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। যদিও এই পথে খুব শীঘ্রই নৌকো চলাচল শুরু হবে, তবে তা কবে থেকে, তা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু এর আগে আগামী কয়েকদিন কীভাবে যাতায়াত করবেন তাঁরা, তা নিয়ে চিন্তায় গ্রামের মানুষ। কেননা, এর ফলে ঘুরপথে তাঁদের প্রায় ২০ কিলোমিটার যাতায়াত করতে হবে।
জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার সংযোগকারী সাধুরঘাটের বাঁশের সাঁকো ভেসে যায় জলের তোড়ে। পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দুই জেলার ধূপগুড়ির সাঁকোয়াঝোরা ২, ফালাকাটার ধোনিরামপুর, খগেনহাটের মানুষজন। শুধু তাই নয়, পার্শ্ববর্তী ধূপগুড়ি ব্লকের মল্লিকঘাটের সেতু এবং চিলারঘাটের ধূপগুড়ি ও বানারহাট ব্লকের মধ্যে অর্থাৎ, সাঁকোয়াঝোরা ১,২-এর মধ্যে যাতায়াত বন্ধ সেতু ভেসে যাওয়ায়।
এদিকে আকাশে কালো মেঘ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, আরও বৃষ্টি হতে পারে। একটানা বৃষ্টি শুরু হলে ফের নদীর জল বাড়বে। ডুডুয়া নদীর জল বাড়লে নৌকো চলাচলও বন্ধ হবে। তখন আরও বড় সমস্যা তৈরি হবে যাতায়াতের ক্ষেত্রে। এদিকে নদীর জল কমলে দেখা দেবে ভাঙন। কৃষিজমি, বাড়ি-ঘর চলে যাবে নদীর গ্রাসে।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Today: মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে বৃষ্টি, তাপপ্রবাহ পশ্চিমের জেলায়
বিষয়গুলি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয় না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সাধুরঘাটে পাকা সেতুর দাবি তাঁদের দীর্ঘদিনের। কিন্তু এর কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি। ধুপগুড়ির বিডিও শঙ্খদীপ দাস টেলিফোনে জানান, বিষয়টি জানা আছে, গত বছরেও একই ঘটনা ঘটেছিল। যেহেতু দুই জেলার মধ্যবর্তী স্থানের ঘটনা, তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভবপর বলে দেখা যায়, তবে অবশ্যই পদক্ষেপ করা হবে। ইতিমধ্যেই ব্লকের তরফ থেকে পরিদর্শনের জন্য একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।