এগরায় বোমাকাণ্ডে ফেরার ভানুর ভর্তি ছিলেন কটকের হাসপাতালে, জমা দিয়েছিলেন ভুয়ো আধার
বিস্ফোরণের পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বিস্ফোরণের পর ওড়িশায় পালিয়ে গিয়েছেন ভানু বাগ। ঘটনার ২ দিন পর তার খোঁজ পেয়ে গেল পুলিস। তার বিরুদ্ধে গতকালই এফআইআর করেছে পুলিস।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কটকের হাসপাতালে ভর্তি হতে ভানুর হাতিয়ার ছিল ভুয়ো আধার কার্ড। কটকের রুদ্র হাসাপাতালে এই মূহুর্তে নজরবন্দী রয়েছে ভানু বাগ। এগরার ঘটনার পর এ রাজ্য ছেড়ে ওড়িশায় পালিয়ে গিয়ে ওই হাসপাতালের ভর্তি হয় ভানু। সূত্রের খবর, হাসপাতালে ভর্তির সময় নিজের নাম কৃ্ষ্ণপদ বাগ জানালেও যে আধার কার্ড দেয় তাতে ঠিকানা ছিল বালাসোরের ভোজরাই বলে একটি গ্রামের। পুলিসের অনুমান, বিভিন্ন সময় ওড়িশাতে যাতায়াত ছিল ভানুর।
আরও পড়ুন, Egra Blast: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে এখনই এনআইএ তদন্ত নয়, হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত সিআইডি-র হাতে
সেই সময় আগেই কোনও সময় সেই ভুয়ো আধার কার্ড বানান ছিল ভানুর। সেটিকেই হাসপাতালে ভর্তি সময় কাজে লাগায়। তার সঙ্গে আরও দু'জন ছিল বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। যারা তার ছেলে এবং ভাইপো বলে অনুমান। ইতিমধ্যেই সিআইডি ওই দু’জনকে আটক করেছে। এখানেই শেষ নয়, হাসপাতালে মিথ্যে বয়ানও দেয় ভানু। পোড়ার আঘাত দেখে হাসপাতাল জানতে চাইলে ভানু বলে, এক আত্নীয় বাড়িতে বিয়ে বাডি চলছিল । সেখানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফারণের আহত হয়।
পরে যদিও এগরার ঘটনা জানাজানি হতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। হাসপাতালে তরফে স্থানীয় পুলিসকে খবর দেওয়া হয়। ওই হাসপাতলে ভানু ভর্তি হয়েছে নিশ্চিত হয় সেখানকার পুলিস। পরে সেই সূত্র ধরে এ রাজ্য পুলিস জানতে পারে। বিস্ফোরণের পর পালিয়ে গিয়েছিলেন এগরা খাদিকুল গ্রামের বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগ। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ভানুর খোঁজ মেলে ওড়িশার কটকের একটি হাসপাতালে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানেই ভর্তি ভানু। তবে হাসপাতাল থেকে তাকে আনার পরিস্থিতি নেই। এমনটাই খবর সিআইডি সূত্রে।
বাজি কারখানার লাইসেন্স রিনিউ না করেই রমরমিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচছিলেন ভানু। ২০২০ সালে একবার গ্রেফতার হন। গ্রামে রবিন হুড টাইপের একটা ইমেজ ছিল এগরার বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগের। সঙ্গে ছিল রাজনৈতিক প্রভাব।
আরও পড়ুন, Egra Blast: ওড়িশা থেকে ক্রেতা এসেছিল, বাজি টেস্ট করতে গিয়েই ঘটে গেল ভয়ংকর ঘটনা