নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্য পুলিসে ভরসা নেই! লোকসভা নির্বাচনের পর এবার উপনির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনী। আগামী ২৫ নভেম্বর রাজ্যের ৩ জেলায় উপনির্বাচন। সেই নির্বাচনেও এবার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। নির্বাচনে যাতে কোনও অশান্তি না হয়, সেই কারণেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্য পুলিসে আস্থা নেই। আর তাই সুষ্ঠুভাবে উপনির্বাচন সম্পন্ন করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই প্রয়োজন বলে মনে করছে কমিশন। তাই ভোটারদের মনোবল বাড়াতে ২৫ নভেম্বরের আগে থেকেই রুট মার্চ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রুট মার্চের জন্য রাজ্যে ১০ কোম্পানি আধাসেনা পাঠাচ্ছে কমিশন। তবে এই প্রথম নয়, আগেও উপনির্বাচনে বাহিনী এসেছে।


কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে যেভাবে দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক এসেছেন এবং ১০০ শতাংশ বুথে বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে, সেই প্রেক্ষিতে উপনির্বাচনে বাহিনী পাঠানো তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিশনের এক কর্তা বলেন, "উপনির্বাচনে এর আগেও বাহিনী এসেছে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে এই রাজ্যকে। সেক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ বাহিনী দিয়েও উপনির্বাচন করানো হতে পারে।"


আরও পড়ুন, ঘূর্ণিঝড়ে ট্রলারডুবিতে মৃত্যু বাবার, ভিড়ের মধ্যে সঞ্জয় দাসের সন্তানদের দেখেই কোলে তুলে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী


আরও পড়ুন, কেন আয়ুষ্মান ভারত-এর থেকে স্বাস্থ্যসাথী ভালো? চার্ট করে 'তুলনা' প্রচারে নামল তৃণমূল


প্রসঙ্গত, কমিশনের কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে লোকসভা ভোট করানোর সিদ্ধান্তে যারপরনাই ক্ষুব্ধ হয়েছিল রাজ্য। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়েছিল। পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে হিংসা, সন্ত্রাসের অভিযোগ এনে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিরোধী দলগুলি। এরপরই লোকসভা নির্বাচনে সময় ১০০ শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।