মৃত্যুঞ্জয় দাস: এবার সাধারণ মহিলা ডিগ্রি কলেজেও থ্রেট কালচারের অভিযোগ, কলেজের বাইরে আর জি করের প্রতিবাদে আন্দোলন করায় দুই ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ বিভাগীয় প্রধান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরার বিরুদ্ধে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

থ্রেট কালচার শুধু রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতেই নয়,  চেপে বসেছে রাজ্যের বিভিন্ন সাধারণ ডিগ্রি কলেজেও। অন্তত তেমন অভিযোগই সামনে চলে এল বাঁকুড়া জিলা সারদামণি মহিলা কলেজের একটি ঘটনায়। অভিযোগ কলেজের বাইরে আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত একটি প্রতিবাদী স্ট্রিট পেইন্টিং কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় কলেজের দুই ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দেন ওই কলেজের বিভাগীয় প্রধান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরার বিরুদ্ধে। দুই ছাত্রীকে ক্লাস করতে না দেওয়ার কথা স্বীকার করে তাঁর দাবি ক্লাসের অনেকেই অভিযোগ করেছিলেন ওই দুই ছাত্রী ক্লাসের মধ্যে নির্দিষ্ট একটি দলের নামে চাঁদা তুলে অন্যদের উত্যক্ত করে। তাই এই ব্যবস্থা। 


আর জি কর কাণ্ডের আবহে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচারের বিষয়টি সামনে আসে। কিন্তু সেই থ্রেট কালচার যে শুধু মেডিক্যাল কলেজগুলিতে গেঁড়ে বসেছে তাই নয়,  সাধারণ কলেজেও রীতিমত জাঁকিয়ে বসেছে থ্রেট কালচার। বাঁকুড়া সারদামণি মহিলা কলেজের ঘটনা যেন সেই ঘটনারই উদাহরণ হয়ে উঠেছে। জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া জিলা সারদামণি মহিলা কলেজের ভূগোল বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের দুই ছাত্রী অপর্না মন্ডল ও দীপিকা মন্ডল কয়েকদিন আগে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে কলেজে প্রতিবাদ কর্মসূচী করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই কর্মসূচীর অনুমতি না মেলায় কলেজের গেটের বাইরের রাস্তায় তাঁরা প্রতিবাদী স্ট্রিট পেইন্টিং করেন। শুধুমাত্র সেই অপরাধে ওই দুই ছাত্রীর উপর নেমে আসে শাস্তির খাঁড়া।


আরও পড়ুন:Canning: বিষাক্ত সাপ কাটতেই ওঝার কাছে দৌড়-ই হল কাল! কালাচে কাড়ল নাবালিকার প্রাণ...


অভিযোগ ওই দুই ছাত্রী পরে কলেজে ভূগোল বিভাগে ক্লাস করতে গেলে বিভাগীয় প্রধান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা তাঁদের অপমান করে ক্লাস থেকে বের করে দেন। বিষয়টি নিয়ে ওই দুই ছাত্রী কলেজের টিচার ইন চার্জের দ্বারস্থ হলেও সুরাহা মেলেনি। এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরে এই থ্রেট কালচারের প্রতিবাদে আজ সকাল দশটায় কলেজ গেটের সামনে ঘেরাও কর্মসূচীর আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিবাদী ওই দুই ছাত্রী। থ্রেট কালচারের ঘটনায় অভিযুক্ত বিভাগীয় প্রধান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা অবশ্য অন্য যুক্তি দিয়েছেন। শ্যামল সাঁতরার দাবি ওই দুই ছাত্রী প্রত্যক্ষভাবে এস ইউ সি আই এর সঙ্গে যুক্ত। ক্লাসের মধ্যে ওই দুই ছাত্রী দলীয় লিফলেট ছড়িয়ে ছাত্রীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে উত্যক্ত করত। বেশ কয়েকজন ছাত্রী লিখিতভাবে সেই অভিযোগও জানান তাঁকে। সেই ঘটনার জন্যই ওই দুই ছাত্রীকে ক্লাস না করার কথা বলা হয়েছিল। এর সাথে আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদের কোনও সম্পর্ক নেই। 


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)