নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে রাজ্যে দল গোছানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে বিজেপি। তবে তার জন্য হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও। কারণ রাজ্য রাজ্যনীতিতে জল্পনা, অন্তঃকলহ ক্রমশ বড় আকার নিচ্ছে রাজ্য বিজেপিতে। এর মধ্যেই সোমবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিলেন বিজেপির এক সময়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও দলের মিডিয়া সেলের প্রধান কৃশানু মিত্র।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-স্বাধীনতার দিবসে দেশবিরোধী মন্তব্য করে ধৃত নদিয়ার কলেজপড়ুয়া


রাহুল সিনহা যখন রাজ্য বিজেপির প্রধান ছিলেন তখন কৃশানু ছিলেন দলের মিডিয়া সেলের দায়িত্ব। এক সময়ে আরএসএসের গুরুত্বপূর্ণ পদেও ছিলেন তিনি। মোট ২৯ বছর তিনি কাটিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে দলের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১৬ সালে তাঁর সঙ্গে বিরোধ বাধে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের। তার পরেই তাঁকে মিডিয়া সেল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শেষপর্যন্ত ২০১৭ সালে দল ছাড়েন কৃশানু। তবে তাঁর সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলে সূত্রের খবর।



আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের কর্মী সমর্থকদের দলে যোগদান করানোর ওপরে জোর দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এনিয়ে সব জেলায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জোর দেওয়া হচ্ছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির বিরোধী দলের কর্মীদের ওপরেই।


সোমবার গোসাবায় তৃণমূলে যোগদান করেন বিজেপির ৮০০ সমর্থক। পাশাপাশি কলকাতায় তৃণমূল ভবনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে কৃশানু মিত্র-সহ বাঁকুড়ার ১১ জন নেতা তৃণমূলে যোগ দেন। এদের মধ্য়ে বাঁকুড়ার প্রাক্তন বিজেপির জেলা সভাপতিও রয়েছেন।


আরও পড়ুন-কোন খাতে স্কুল কী খরচ করছে? খুঁটিয়ে দেখতে কমিটি গড়ে দিল হাইকোর্ট


ওই অনুষ্ঠানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, অন্য দল থেকে যাঁরা তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছেন তাদের মধ্যে সক্রিয় কর্মীদের ওপরেই বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ-সব জায়গায় দলের কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


এদিন রাজ্যপাল নিয়েও সরব হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এর আগেও রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের মতবিরোধ হয়েছে। উনি গণতন্ত্র মানলে খুশি হব। উনি নিজের জায়গা খেলো করছেন। নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বলছেন। রাজভবনের কথা কেউ বিশ্বাস করছে না।