রাজনীতি পরে, আগে বন্ধুত্ব! চায়ের আড্ডার এক ছবিতে 'বন্ধু' সিপিএম, তৃণমূল, বিজেপি

বন্ধুত্বের মাঝে রাজনীতির বিভাজন থাকে না। 

Updated By: Apr 28, 2019, 07:20 PM IST
রাজনীতি পরে, আগে বন্ধুত্ব! চায়ের আড্ডার এক ছবিতে 'বন্ধু' সিপিএম, তৃণমূল, বিজেপি

নিজস্ব প্রতিবেদন : শ্বশুরমশাই সিপিএমের বিধায়ক। পুত্রবধূ তূণমূলের নেত্রী। অথবা, বাবা কংগ্রেসের সমর্থক। কিন্তু ছেলে এককাট্টা বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী। এমন উদাহরণ তো ভুরি ভুরি রয়েছে। সিপিএম বিধায়কের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী পুত্রবধূর সংসার জীবনে কোনও বিরোধ নেই। দৃষ্টান্ত রয়েছে। এমনও দেখা গিয়েছে, কংগ্রেসের মতাদর্শে বিশ্বাসী বাবার সঙ্গে বামপন্থী ছেলের ব্যক্তিগত জীবনে রাজনীতির ছাপ-টাপ নেই। সবই সম্পর্কের বাঁধনের উপর নির্ভর করে। অনেকটা আবার পেশাদার মানসিকতার উপরও। কিন্তু নিখাত বন্ধুত্ব থাকলে আর কিছুই দরকার পড়ে না। 

আরও পড়ুন-  নিরাপত্তার অভাবে ভোট বয়কটের ডাক দিলেন ভোটকর্মীরা

বন্ধুত্বের মাঝে রাজনীতির বিভাজন থাকে না। তবে হ্যাঁ, প্রিয় দলের প্রচারে কোনও ফাঁক থাকবে না। কিন্তু প্রচারের মাঝে বা শেষে একসঙ্গে চায়ের চুমুকে রাজনীতির ঝড় উঠবে না। সেখানে আবার ফিরে আসবে বন্ধু্ত্ব। সম্প্রতি এই রাজ্যের বন্ধুদের একটি দলের ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেই বন্ধুদের গ্রুপে কেউ তৃণমূলের কর্মী। কেউ বিজেপির। আবার কেউ সিপিএমের। যে যাঁর দায়িত্ব সামলাতে বেরিয়েছিলেন। অর্থাত্, প্রচারের কাজে। প্রচারের মাঝে হোক বা শেষে, একসঙ্গে চায়ের আড্ডায় বসেছিলেন বন্ধুরা। রাজনৈতিক দলের পতাকা ছিল তাঁদের হাতে। কিন্তু মনে বা মুখে রাজনীতি ছিল না। ছিল বন্ধুত্ব।

আরও পড়ুন-  'বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধব আমি-ই', মোদীকে চ্যালেঞ্জ মমতার

এর আগে কেরলের একটি গাড়িতে প্রায় একইরকম ছবি দেখা গিয়েছিল। একটি গাড়িতে তিনটি রাজনৈতিক দলের বন্ধুত্ব। সঙ্গে তিন বন্ধু। একজন সিপিএমের, একজন কংগ্রেসের ও একজন বিজেপির সমর্থক অথবা কর্মী। কিন্তু হাসতে হাসতে তাঁরা এক অপরের সঙ্গে এক গাড়িতে সওয়ার হয়েছেন। সে ছবি নেট-দুনিয়ায় প্রশংসা কুড়িয়েছিল। বন্ধুত্ব যে রাজনীতির উর্ধ্বে তা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন অনেকে। কেরলের পর এবার একই ছবি বাংলায়। বন্ধুত্বের নতুন পাঠ পড়িয়ে গেলেন একদল যুবক। 

.