Union Minister Subhas Sarkar: রামধোলাই দিয়ে গ্রাম থেকে তৃণমূল কর্মীদের বিদেয় করুন, নিদান কেন্ত্রীয় মন্ত্রীর
বিজেপি নেতার এহেন মন্তব্য নিয়ে জেলায় রাজনৈতিক মহল বেশ আশ্চর্যই হয়েছেন। একজন নামী চিকিত্সক ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মুখে এমন কথা! তবে সুভাষ সরকারের আগে ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা বলেছিলেন, গাঁটযুক্ত বাঁশ তৈরি রাখুন।
![Union Minister Subhas Sarkar: রামধোলাই দিয়ে গ্রাম থেকে তৃণমূল কর্মীদের বিদেয় করুন, নিদান কেন্ত্রীয় মন্ত্রীর Union Minister Subhas Sarkar: রামধোলাই দিয়ে গ্রাম থেকে তৃণমূল কর্মীদের বিদেয় করুন, নিদান কেন্ত্রীয় মন্ত্রীর](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/01/03/402558-1.png)
মৃত্যুঞ্জয় দাস: তৃণমূল কর্মীদের রাম ধোলাই দিন। এমনটাই নিদান দিলেন বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। মিথ্যে বললেই ধোলাই দেওয়ার নিদান দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? গতকাল বাঁকুড়ার সিমলাপালের একটি গ্রামে বিজেপির এক কর্মীসভায় যোগ দেন সুভাষ সরকার। সেখানেই তিনি বলেন আবাস যোজনা নিয়ে তৃণমূল কর্মীরা যদি মিথ্যে কথা বলে তাহলে ধোলাই দিন। এই দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন- ববিতার থেকে বেশি নম্বর পেয়েছেন অনামিকা! SSC এর 'ভুলে' চাকরি নিয়ে টানাপোড়েন
কী বলেছিলেন সুভাষ সরকার? কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, তৃণমূলকে হারাতে হবে। এর জন্য সবসময় আমরা সংঘটিত থাকব। ওরা নানা রকম মিথ্যে কথা বলবে। মিথ্য়ে কথা আগেও বলতো। এখনও বলছে। ওদের কোনও কথায় আপনারা ভুলবেন না। আসলেই, মিথ্যে কথা বললেই যা উত্তম মধ্যম দিন, কিংবা যা মনে করছেন তাই করুন। একেবারে ধোলাই দিয়ে গ্রাম থেকে বিদেয় করুন। মিথ্যে কথা বললেই তার শাস্তি রাম ধোলাই।
বিজেপি নেতার এহেন মন্তব্য নিয়ে জেলায় রাজনৈতিক মহল বেশ আশ্চর্যই হয়েছেন। একজন নামী চিকিত্সক ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মুখে এমন কথা! তবে সুভাষ সরকারের আগে ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা বলেছিলেন, গাঁটযুক্ত বাঁশ তৈরি রাখুন। তৃণমূল নেতারা যদি গ্রামে ঢোকেন তাহলে তাদের তাড়া করুন। এছাড়া বাঁকুড়ার অন্য এক বিধায়ক নীলাদ্রী শেখর দানা সম্প্রতি বিডিওকে চেয়ার ছেড়ে যাওয়ার কথা বলেন।
সুভাষ সরকারের ওই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ইনি ভারতের শিক্ষা দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী। যাঁর সুপারিশে নীলাদ্রী শেখর দানার বাড়ির লোকেরা কল্যাণ এইমসে চাকরি পেয়েছেন। উনি আবার প্রমাণ করে দিলেন বিজেপির জেনেটিক কনফিগারেশনটাই এটা। ওরা যত এরকম কথা বলবে ততই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি মানুষের সমর্থন বাড়বে। তাই ব্যক্তিগতভাবে আমি চাই সুভাষবাবুরা এরকম কথা আরও বলুন। তাতে আমাদের আরও রাজনৈতিক সুবিধে হবে।