ত্রিমুখী কৌশলে গুরুংদের স্ট্রাটেজি ভেস্তে দিল পুলিস, গ্রেফতার ৩ মোর্চা সমর্থক

অস্ত্র অর্থনৈতিক অবরোধ। পাহাড়ে অচলের ছক কষেছিল মোর্চা। সতর্ক ছিল প্রশাসনও। ত্রিমুখী কৌশলে গুরুংদের  স্ট্রাটেজি ভেস্তে দিল পুলিস।  দিনের শেষে গ্রেফতার ৩ মোর্চা সমর্থক। রাতেও গুরুংয়ের ঠিকানা পাতলে বাস পর্যন্ত প্যাট্রোলিং করল পুলিস। পাহাড়ে সরকারি অফিসে হাজিরা ভালো। সার্টিফিকেট মুখ্যমন্ত্রীর। আলগা হচ্ছে পায়ের তলার মাটি। আশঙ্কা ছিল, মরিয়া কামড় দেবে মোর্চা। পুরোদমে প্রস্তুত ছিল প্রশাসনও।

Updated By: Jun 12, 2017, 10:54 PM IST
ত্রিমুখী কৌশলে গুরুংদের  স্ট্রাটেজি ভেস্তে দিল পুলিস, গ্রেফতার ৩ মোর্চা সমর্থক

ওয়েব ডেস্ক: অস্ত্র অর্থনৈতিক অবরোধ। পাহাড়ে অচলের ছক কষেছিল মোর্চা। সতর্ক ছিল প্রশাসনও। ত্রিমুখী কৌশলে গুরুংদের  স্ট্রাটেজি ভেস্তে দিল পুলিস।  দিনের শেষে গ্রেফতার ৩ মোর্চা সমর্থক। রাতেও গুরুংয়ের ঠিকানা পাতলে বাস পর্যন্ত প্যাট্রোলিং করল পুলিস। পাহাড়ে সরকারি অফিসে হাজিরা ভালো। সার্টিফিকেট মুখ্যমন্ত্রীর। আলগা হচ্ছে পায়ের তলার মাটি। আশঙ্কা ছিল, মরিয়া কামড় দেবে মোর্চা। পুরোদমে প্রস্তুত ছিল প্রশাসনও।

বিজনবাড়ির BDO অফিসে আগুন
শুরুতেই ধাক্কা দিয়েছিল মোর্চা। ভোরের আলো ফোটার আগেই বিজনবাড়ির BDO অফিসে আগুন লাগানোর চেষ্টা হয়।  তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রশাসনের পাল্টা..
এরপরই পিকচার চেঞ্জ। দিনকয়েক আগেই দক্ষ তিন IPS জাভেদ সামিম-সিদ্ধিনাথ গুপ্তা ও অজয় নন্দাকে পাহাড়ে তুলে আনেন মুখ্যমন্ত্রী।  তাঁদের নেতৃত্বেই মোর্চার নড়াচড়া কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। 

প্রশাসনের ত্রিমুখী কৌশল-

*সরকারি অফিস লাগোয়া এলাকা ও রাস্তায় পুলিসি টহলদারি
*সরকারি অফিসের  ভিতর ও বাইরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা
*বহিরাগতদের রুখতে ইন্টারসেপ্ট ভ্যানের টহলদারি

ত্রিমুখী কৌশলের বাস্তব প্রয়োগ দেখা গেল দার্জিলিং জেলাশাসকের অফিসে। পুলিস-রবো কপ-CRPF। সকালে সাড়ে আটটার মধ্যেই দুর্গ অফিস চত্বর। জেলাশাসকের অফিস যখন দুর্গ, তখনই খবর আসে কার্শিয়াং-কালিম্পংয়ে সরকারি অফিসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে মোর্চা। কিন্তু, কিছু ক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি সামলে নেয় পুলিস।

গেরিলা অ্যাটাকে মোর্চা
দাঁত ফোটাতে না পেরে বেলা বারোটা পর স্ট্রাটেজি বদলে ফেলে মোর্চা। সামনাসামনি বিক্ষোভ-হামলার পথে  না হেঁটে শুরু হয় চোরাগোপ্তা হামলা।

PWD অফিসে আগুন
দার্জিলিং জেলাশাসকের অফিস থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে সিংমারিতে PWD অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। 

সোনাদায় ভাঙচুর
ভাঙচুর হয় সোনাদার বিদ্যুত পর্ষদের অফিসেও।

দায় ঝাড়ল মোর্চা
প্রশাসনের দাবি, ভাঙচুরের পিছনে হাত রয়েছে মোর্চার। তবে দায় এড়ালেন মোর্চার সাধারণ সম্পাদক।

মোর্চার অন্দরের খবর, এটাই আদতে গুরুংদের নয়া স্ট্রাটেজি। প্রশাসন যেভাবে পুলিস-রবো কপ এনে শহর ঘিরে ফেলেছে, তাতে সরাসরি সংঘাতের বদলে  চোরাগোপ্তা হামলা করে অস্তিত্ব প্রমাণ করাই আরো ভালো পথ মনে করছেন গুরুংরা। তবে, গুরুংদের নয়া কৌশলকে আমল দিতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বললেও,সর্তক প্রশাসন। আগামিদিনে পাহাড়কে শান্ত রাখতে এতটুকু রাশ আলগা করতে রাজি নন অখিলেশ চর্তুবেদী-জাভেদ শামিম-সিদ্ধিনাথ গুপ্তারা। চাপ আরও বাড়াতে সন্ধেয় গুরুংয়ের ঠিকানা পাতলেবাস পর্যন্ত তল্লাসি চালায় পুলিস। নেতৃত্ব দেন সিদ্ধিনাথ গুপ্তা।

.