বিয়ের ৬ মাসেই খুন গৃহবধূ, বদলায় শ্বশুরঘরেই কবর দিয়ে দেওয়াল তুলে দিলেন মৃতার আত্মীয়রা
বিয়ে হয়েছিল মাত্র ৬ মাস আগে। বিয়ের পর থেকেই বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য অত্যাচার শুরু করে স্বামী ও শাশুড়ি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : শ্বশুরবাড়িতে গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু। মৃতার বাপের বাড়ির তরফে অভিযোগ, পণের টাকার দাবিতেই বিয়ের ৬ মাসের মাথায় ওই যুবতীকে খুন করে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। কিন্তু তাতেও ক্ষোভ কমেনি মৃতার আত্মীয়দের। আর তাই শ্বশুরবাড়ির লোকেদের উচিত শাস্তি দিতে তাঁরা এমন ব্যবস্থা করেন যে, ভয়ে আর বাড়ি-ই ফিরতে পারছেন না ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
আরও পড়ুন, পুজোয় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য দারুণ 'উপহার' মুখ্যমন্ত্রীর
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির মনোহরপুররে বাসিন্দা রসোনারা বিবির বিয়ে হয়েছিল মাত্র ৬ মাস আগে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য রসোনারা বিবির অত্যাচার শুরু করে তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি। দিন দিন বাড়তে থাকে নির্যাতনের মাত্রা। এরপরই ১৭ সেপ্টেম্বর রসোনারা বিবির মৃত্যু হয়। বিয়ের ৬ মাসের মাথায় মাত্র ২৮ বছর বয়সে রসোনারা বিবির এই মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলে মোটেই মানতে রাজি হয়নি তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন। শ্বশুরবাড়ির ঘর থেকে রসোনারার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনায় রসোনারা বিবির স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে কুলপি থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার আত্মীয়রা। অভিযোগের ভিত্তিতে রসোনারার স্বামী ও শাশুড়ি দুজনকেই গ্রেফতার করে পুলিস।
আরও পড়ুন, ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি, ইসলামপুরে কাণ্ডে হাইকোর্টে মামলা নিহত ছাত্রদের পরিবারের
কিন্তু তাতে শান্ত হননি রসোনারার বাপের বাড়ির লোকেরা। ময়নাতদন্তের পর দেহ নিয়ে গ্রামে ফেরার পরই শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হন রসোনারার আত্মীয়রা। শ্বশুরবাড়ির যে ঘর থেকে রসোনারার দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেই ঘরের মাটিতেই রসোনারাকে কবর দেন তাঁরা। শুধু তাই নয়। শেষে দেওয়াল তুলে ওই ঘরে ঢোকার পথও বন্ধ করে দেন তাঁরা।
আরও পড়ুন,পুলিসের নাকের ডগায় চলল চাঁদার জুলুম! মেরে মাথা ফাটাল বাস কনডাক্টরের
রসোনারারর বাপের বাড়ির আত্মীয়দের এহেন প্রত্যাঘাতে বেজায় ঘাবড়ে গিয়েছেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। প্রাণভয়ে নিজেরাই এখন পাল্টা আতঙ্কে ভুগছেন। পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন না। অবশেষে ঘরে ফেরার ব্যবস্থার করে দেওয়ার আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।