SSC: শিক্ষক বদল সংক্রান্ত মামলায়ও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ!
কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে নির্দেশে শোরগোল উত্তরবঙ্গে।
প্রদ্যুৎ দাস: শিক্ষক বদলিতেও এবার সিবিআই তদন্ত! যে শিক্ষিকাকে বদল করা নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছিল, সেই শিক্ষিকাকে নিজের পুরানো স্কুলেই যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ।
ঘটনাটি ঠিক কী? ২০১৬ সালে শিলিগুড়ির শ্রীগুরু বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন শান্তা মন্ডল। প্রধান শিক্ষিকার পদের জন্য় পরীক্ষায় বসেন ২০১৯ সালে। পাস করার পর, আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া স্কুল যোগ দিতে বলা হয় তাঁকে। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই ওই শিক্ষিকা ফের বদলি হয়ে যান বলে অভিযোগ। কোথায়? শিলিগুড়িরই অমিয় পাল চৌধুরী স্কুলে।
এদিকে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে আবার ফের শিলিগুড়ির শ্রীগুরু বিদ্যালয়েই যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেন শান্তা মণ্ডল। এরপরই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে ওই শিক্ষিকাকে শ্রীগুরু বিদ্যালয়েই যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: নিয়োগে বেনিয়ম? একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ উপাচার্য! হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে কাটল জটিলতা
এদিন মামলাটির চূড়ান্ত শুনানি হল হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে। আগামিকাল, শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটার মধ্যেই শান্তা মণ্ডলকে আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া স্কুলে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, কেন বারবার ওই শিক্ষিকাকে বদলি করা হচ্ছে? তদন্ত করবে সিবিআই।
এর আগে, এসএসসি-র বদলি আবেদন খারিজের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের হাতকিরিনগর বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হামিদা খাতুন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের বাসিন্দা তিনি। এসএসসি পাস করে হাতকিরিনগর বিদ্যালয়ে চাকরি পান তিনি। কেন বদলির আবেদন? হামিদা খাতুনের দাবি, বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব ৪০০ কিমি। শারীরিক ভাবে সুস্থ নন তিনি। স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত নানা সমস্যায় ভুগছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শারীরিক কারণেই ৪০০ কিমি পথ পেরিয়ে স্কুলে যাওয়া ঠিক হবে না। সেই আবেদন খারিজ হল কেন? এসএসসি-র নিয়মে, চাকরির মেয়াদ ৫ বছর না পেরোলে, শিক্ষকদের বদলি করা যায় না। ৬ সপ্তাহের মধ্যে হামিদা খাতুনকে বদলির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্তার মন্তব্য, 'অসুস্থতা কী ডাকবিভাগে বলে আসে! যে কোনও সময় মানুষ অসুস্থ হতে পারেন'।