জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে জোড়া তত্ত্ব, বন্ধুর পর এবার আটক শিক্ষকের বাবা
ঘটনায় ঋণ তত্বের পাশাপাশিই উঠে এসেছে পারিবারিক কলহ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের জিয়াগঞ্জকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। এবার রাডারে বাবা-ছেলের সম্পর্ক। জানা গিয়েছে সম্পত্তির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই বাবার সঙ্গে টানাপোড়েন চলছিল বন্ধুপ্রকাশ পালের। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতর বন্ধু সৌভিক বনিকের সঙ্গেই আটক করা হয়েছে বন্ধুপ্রকাশের বাবাকে অমর পালকেও। ঘটনায় ঋণ তত্বের পাশাপাশিই উঠে এসেছে পারিবারিক কলহ।
বাবা-ছেলের সম্পর্ক ভাল ছিল না বলেই দাবি করেছেন শিক্ষকের মায়ের। সূত্রের খবর, অমর পালের দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই বন্ধুপ্রকাশ ও তাঁর বাবার সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। তৈরি হয় আক্রোশ। যদিও বাবার সঙ্গে থাকতে না বন্ধু প্রকাশ। পাশাপাশি সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলাতেও মৃত শিক্ষক জড়িয়েছিলেন বলেই বলেই খবর।
এদিকে একই সঙ্গে জোরালো হয়েছে ঋণ তত্বও। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, সৌভিক বনিকের পাওনা মেটাতে না পারার কারণেই আক্রোশের বলি হয়েছেন শিক্ষক। ঘটনায় আটক করা হয়েছে আর্থিক সংস্থার কর্মী সন্দেহভাজনকে। চলছে ম্যারাথন জেরা। পুলিসকে তদন্তে সাহায্য করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সিআইডি। সংগ্রহ করা হচ্ছে নমুনা।
সব মিলিয়ে জিয়াগঞ্জের হত্যাকাণ্ডে কার্যত উত্তপ্ত নেপথ্যে কি লাগাম ছাড়া বোঝা নাকি পারিবারিক সম্পত্তির বিবাদ। এড়িয়া যাওয়া যাচ্ছে না সুপারি কিলারেরও যোগও। জোড়া তত্ত্বের যোগসূত্র ধরে খুনের তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস। জেলা পুলিস সুপার জানিয়েছেন ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।