Kamtapur: পৃথক কোচবিহারের দাবির পর এবার কামতাপুর, উত্তরবঙ্গজুড়ে রেল অবরোধের ডাক কেপিপি-র
উত্তরবঙ্গে পৃথক রাজ্যের দাবিটি সম্প্রতি খুঁচিয়ে তোলেন গ্রেটার কোচবিহার নেতা অনন্ত মহারাজ। শিলিগুড়ির কাউয়াখালির মাঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দেওয়ার পরই তিনি জানিয়ে দেন কোচবিহার বাংলার নয়।
প্রদ্যুত্ দাস: অনন্ত মহারাজের পৃথক কোচবিহারের দাবির পাশাপাশি এবার উত্তরবঙ্গে পৃথক কামতাপুর-এর দাবিতে সোচ্চার হল কামতাপুর পিপলস পার্টির দুটি শাখা। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে তারা জানিয়ে দিল, পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে উত্তরবঙ্গে রেল অবরোধ করা হবে। মালদহ থেকে কোচবিহারের সব স্টেশনে ট্রেন রুখে দেবে কামতাপুর কর্মীরা। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি প্রেসক্লাবে ওই ঘোষণা করতে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে কামতাপুর পিপলস পার্টি ইউনাইটেড ও কামতাপুর পিপলস পার্টি প্রোগ্রেসিভ।
আরও পড়ুন-পৃথক কোচবিহারের দাবিতে অনড়! বিজেপি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে বৈঠক অনন্ত মহারাজের
ওই সাংবাদিক সম্মেলনে কেপিপির যৌথ ফোরামের তরফে নিখিল রায় বলেন, ১৯৬৯ সাল থেকে আমরা পৃথক কামতাপুর রাজ্য গঠনের দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছি। উত্তরবঙ্গের ৮ জেলাকে নিয়ে পৃথক কামতাপুর রাজ্য তৈরি করতে হবে। আমাদের কথা ভাবতে হবে। এখানকার মানুষের উন্নতির জন্য একটি পূর্ণ রাজ্যের প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যেই রেল অবরোধ করার ডাক দিয়েছি। আমরা চাই মানুষ পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হোক।
কামতাপুর পিপলস পার্টির অভিযোগ, উত্তরবঙ্গে ভূমিপুত্রেদের সবদিক থেকে বঞ্চিত করছে সরকার। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে পৃথক রাজ্যই একমাত্র পথ। এনিয়ে ইতিমধ্যেই দাবিপত্র পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।
কামতাপুর পিপলস পার্টির(প্রোগ্রেসিভ )সভাপতি অমিত রায় বলেন, আগামী ৬ ডিসেম্বর রোল রোকো আন্দোলনের ডাক দিয়েছি। মূলত পৃথক রাজ্যের দাবিতেই এই আন্দোলন। ১৯৬৯ সাল থেকে আমরা এই আন্দোলন করে আসছি।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গে পৃথক রাজ্যের দাবিটি সম্প্রতি খুঁচিয়ে তোলেন গ্রেটার কোচবিহার নেতা অনন্ত মহারাজ। শিলিগুড়ির কাউয়াখালির মাঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দেওয়ার পরই তিনি জানিয়ে দেন কোচবিহার বাংলার নয়। এনিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা এনিয়ে কাজ করছে। অনন্ত মহারাজের ওই মন্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেনি রাজ্য বিজেপি। কিন্তু রবিবার শিলিগুড়ির এক হোটেলে রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক সুনীল বনসলের সঙ্গে বৈঠক করেন অনন্ত মহারাজ। সেই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকও।
ওই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "সব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে৷ তার মধ্যে ইউনিয়ন টেরিটরিও ছিল। তবে এর থেকে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়৷ যা হবে ফিল্ডে দেখবেন। যে যাই বলুক, যা হবে তা ভালোই হবে।" ইউনিয়ন টেরিটরি বা আলাদা রাজ্য নিয়ে কেন্দ্র কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। দাবি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের। এনিয়ে অনন্ত মহারাজ জানান, "আমি বলিনি সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা হবে দেখবেন। আবার বলছি সব বিষয়েই আলোচনা করেছি। আমি যা বলেছি সেটাই ফাইনাল।"
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক জানান , "বনসলজি প্রথমবার উত্তরবঙ্গ বা শিলিগুড়িতে এসেছেন৷ ওঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে আমি এসেছি। অনন্ত মহারাজ এসেছেন। তবে উনি কী বলেছেন তা ওনার কাছ থেকেই জানুন।"