আতঙ্কের মধ্যেই খানিক স্বস্তি আনল কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল ও কাঁথির নার্সিংহোমের খবর
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ২ চিকিৎসক সহ নার্সদের করোনা পরীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্ট নেগেটিভ। কাঁথির নার্সিংহোমে প্রসূতির করোনা সংক্রমণের রিপোর্টও নেগেটিভ।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৬ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০। এমন পরিস্থিতিতে খানিকটা স্বস্তির খবর বয়ে আনল কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল ও কাঁথি নার্সিংহোমের খবর।
সরকারি কোয়ারেন্টাইনে থাকা কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ২ চিকিৎসক সহ নার্সদের করোনা পরীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। রিপোর্ট নেগেটিভ আসতেই কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে কর্মীদের মধ্যে স্বস্তির হাওয়া। কাটোয়া হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী সহ অ্যাম্বুল্যান্স চালক নিয়ে মোট ১৭ জন মুর্শিদাবাদের সালারের করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়ের সংস্পর্শে এসেছিলেন। তাই প্রত্যেকের লালারস পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছিল। প্রথম দফায় ১৭ জনের মধ্যে ২ চিকিৎসক সহ ৭ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে।
অন্যদিকে, কাঁথির নার্সিংহোমে প্রসূতির করোনা সংক্রমণের রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে। আজ দিনভর এই নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ছিলের কাঁথির মানুষ। জেলার তিনটি জায়গা অর্থাৎ এগরা, হলদিয়া ও তমলুককে 'রেড জোন' ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু কাঁথি গ্রিন জোনে রয়েছে। তারই মাঝে আজ কাঁথিতে ওই প্রসূতির সংক্রমণের আশঙ্কায় আতঙ্ক দানা বাঁধে। শেষমেশ রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় স্বস্তি এলাকাবাসীর মনে। কাঁথি হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী চক্রবর্তী জানিয়েছেন, "এটি একটি সধারন ফ্লু-ছিল। মা ও শিশু সুস্থ আছে। ভাল রয়েছে। নার্সিংহোমটিকেও আগামিকাল থেকে খুলে দেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন, করোনা পরিস্থিতির খুঁটিনাটি জানতে চেয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি ধরাল কেন্দ্রীয় দল