নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে আরও দুজনের সাজা ঘোষণা করল এনআইএ বিশেষ আদালত। মঙ্গলবার অভিযুক্ত কদর কাজি ও মহম্মদ জাইদুল হককে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এদিনই তাদের সাজা ঘোষণা করা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কোভিড হাসপাতালের মেনুতে বদল, বাড়ল রোগীর মাথাপিছু খাবারের বরাদ্দ


দোষী সাব্যস্ত দুজনেকেই ৭ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত। সঙ্গে জরিমানা। অনাদায়ে আরও  ৫ বছর কারবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি রইল বিস্ফোরণের মূল পাণ্ডা কৌসর।


এর আগে ওই মামলায় ২৮ জনের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করেছিল আদালত। এখনও পর্যন্ত কোনও একটি মামলায় এতজনকে সাজা দিল এনআইএ আদালত। 



গত ৯ সেপ্টেম্বর খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িত ৪ জেএমবি জঙ্গিকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয় এনআইএ আদালত। এদিন ওই মামলার সাজা ঘোষণা করেন এনআইএ বিশেষ আদালতের বিচারক প্রসেজিত্ বিশ্বাস।


সাজাপ্রাপ্ত জিয়াউল হক, মতিউর রহমান, মহম্মদ ইউসুফ ও জাহিরুল শেখের ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ৫,০০০ টাকা জরিমানা হয়। 


উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমান শহরের ভেতরে খগড়াগড়ে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ কেঁপে ওঠে একটি বাড়ির দুতলার একটি ঘর। আইডি থেকেই ওই বিস্ফোরণ ঘটে য়ায়। শহরের এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীর কাছ থেকে ঘরটি ভাড়া নিয়েছিল কয়েকজন জেএমবি জঙ্গি। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ২ জনের। অন্য দুজন বেঁচে যায়। প্রাথমিকভাবে ওই বিস্ফোরণের তদন্ত রাজ্য সরকার করলেও পরে তা এনআইএর হাতে চলে যায়।


আরও পড়ুন-অরুণাচল সীমান্তেও এবার জড়ো হচ্ছে লাল ফৌজ! সতর্ক করা হল ভারতীয় সেনাকে 


তদন্তে উঠে আসে ওই বিস্ফোরণের সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবির যোগ রয়েছে। ওই বাড়িটিতে বোমা বানিয়ে তা সরবারহ করা হতো জঙ্গিদের। তদন্তে বেশকিছু আইইডি, বিস্ফোরক, হ্যান্ড গ্রেনেড ও জঙ্গি ট্রেনিং ভিডিয়ো উদ্ধার হয়।


বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় এনআইএ। এদের মধ্যে ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গত বছর ৩০ অগাস্ট ১৯ জন ও ১৫ নভেম্বর ৫ জনের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করে এনআইএ আদালত।