Visva Bharati: বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে চিঠিতে স্বাক্ষর নোয়াম চমস্কির....
গত চার বছরে বিতর্কে জড়িয়েছেন বারবার। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সরব দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। রাষ্ট্রপতিকে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে চিঠি দিলেন ২৬১ জন।
প্রসেনজিৎ মালাকার: কখনও অধ্যাপককে সাসপেন্ড করে দিচ্ছেন, তো কখন আবার ঢিল ছুঁড়ছেন পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে! গত চার বছরে বিতর্কে জড়িয়েছেন বারবার। বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে এবার রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিলেন দেশ-বিদেশের ২৬১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। চিঠিতে সই করেছেন ভাষাতত্ত্ববিদ নোয়াম চমস্কিও! রাষ্ট্রপতিকে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্য়ালয়ে অনৈতিক কাজ হচ্ছে। এমনকী, খোদ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীও নাকি বিভিন্ন বেনিয়মের সঙ্গে যুক্ত! যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। স্রেফ পরীক্ষার বসতে না দেওয়া নয়, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পুনরায় ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না পড়ুয়াদের।
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। ২ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চলে উপাচার্যের বাড়ির সামনে। শেষপর্যন্ত নিরাপত্তারক্ষীদের সাহায্যে ঘেরাওমুক্ত হন উপাচার্য। এরপর যখন সস্ত্রীক বাসভবনের বাইরে বেরোন, তখন নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের। এমনকী, উপাচার্য নিজেও আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়েন! সাসপেন্ড করা হয় বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে।
আরও পড়ুন: Arambagh: অ্য়াকাউন্টে আচমকাই ৫০ লাখ টাকা! দিল্লি থেকে এল 'সিবিআই', আতঙ্কিত নার্সিংহোম কর্মী
এর আগে, বিশ্বভারতীতে নিয়োগে বেনিয়মে অভিযোগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী চিঠি দিয়েছিলেন অর্থনীতির বিভাগের সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। বিষয়টি উপাচার্যের নজরেও এনেছিলেন তিনি। তারপর? তদন্ত নয়, উলটে অভিযোগকারী অধ্যাপককেই সাসপেন্ড করে দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।