নিজস্ব প্রতিবেদন: লিলুয়ার বেলগাছিয়ায় একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে বেশকিছু বিষয় সামনে চলে আসছে। মৃত্যুর কারণ হিসেবে আর্থিক অনটনই মূল কারণ বলে মনে করছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তদন্তে উঠে এসেছে, অভিজিত্ দাস নামে ওই ব্যবসায়ী স্ত্রী দেবযানীর গহনা বন্ধক রেখে লোন নিয়েছিলেন ব্যাঙ্ক থেকে। সেই টাকা শোধ করে গহনা ছাড়িয়ে আনতে না পারায় প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটি হতো স্ত্রীর সঙ্গে। তারই পরিণতি এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা।


আরও পড়ুন-Drug Case: মিলল না জামিন, ফের NCB হেফাজতে Shah Rukh পুত্র Aryan


গত ২ অক্টোবর বন্ধক রাখা দেবযানীর সেই গহনা নিলাম হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেদিন ছুটি থাকায় তা হয়নি। তবে তার আগেই ঘটে যায় মর্মান্তিক ওই ঘটনা। অভিজিতের ক্লাস সেভেনের ছাত্রী সম্রাজ্ঞী ঘটনার সময় অনলাইনে ক্লাস করছিল। স্কুলের পোশাক পরা অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিসের অনুমান, অনলাইন ক্লাস চলাকালীন মাথায় হাতুড়ি মেরে খুন করা হয় সাম্রাজ্ঞীকে। এরপর খুন করা হয় দেবযানীকে। শেষে নিজের গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন অভিজিত্। ব্যাঙ্ক থেকে গহনা ছাড়ানো নিয়ে বিবাদের জেরেই ওই মার্মান্তিক ঘটনা ঘটে যায়।


তদন্তে নেমে পুলিসের ধারনা হয়েছিল, স্ত্রী ও মেয়েকে মেরে আত্মঘাতী হয়েছেন অভিজিত্। তবে কেন ও কীভাবে খুন করা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিস। অভিজিতের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে খোঁজখবর করতেই বেরিয়ে আসে তার ব্যবসায় মন্দা ও স্ত্রী গহনা বন্ধক রাখার বিষয়টি। খুনের ঘটনার সবটাই হয়ে যায় আচমকা। মেয়েকে খুন করার সময়ে স্ত্রী বাধা দিতে গেলে তাকেও খুন করে। এরপর নিজে আত্মঘাতী হন অভিজিত্।


আরও পড়ুন-Fire Breaks: কলুটোলায় দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, ফোনে খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী   


উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর লিলুয়ায় অভিজিতের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অভিজিত্, সাম্রাজ্ঞী ও দেবযানীর মৃতদেহ। ঘটনাস্থলে মেলে একটি রক্তমাখা হাতুড়ি। অভিজিতের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা পুলিসে খবর দিতেই গোটা ঘটনা সামনে চলে আসে। প্রতিবেশীদের দাবি, দোতলায় অভিজিতের ঘর থেকে নেমে আসা পাইপ থেকে রক্ত গড়িয়ে আসতে দেখেন তারা।


জানা গিয়েছে, লিলুয়ার বেলগাছিয়া রোডে স্ত্রী দেবযানী ও একমাত্র মেয়ে সম্রাজ্ঞী-কে নিয়ে থাকতেন অভিজিৎ দাস। পেশায় তিনি ছিলেন গ্যাসের ব্যবসায়ী। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই পরিবারের কাউকেই এলাকায় দেখা যাচ্ছিল না। প্রতিবেশীদের দাবি, মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ শেষবার অভিজিৎকে দেখতে পেয়েছিলেন। এমনকী, বুধবার ফোন করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি ওই ব্যবসায়ীর কর্মীরা। কারণ, ফোন সুইচড অফ ছিল! তারপরই ২ অক্টোবর তিনজনরে মৃত্যুর ঘটনা সামনে চলে আসে।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)