আমফান বিপর্যয়: বিদ্যুতের দাবিতে জনতা-পুলিস খণ্ডযুদ্ধ আক্রায়, বাইকে আগুন, পাল্টা লাঠিচার্জ
বেশ কয়েকটি অটো ও বাইক ভাঙচুর করেন বিক্ষোভকারীরা। আগুন লাগিয়ে দেন বাইকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বিদ্যুতের দাবিতে পুলিসের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধল জনতার। অটো, বাইক ভাঙচুর করলেন উত্তেজিত জনতা। আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয় বাইকে। অন্যদিকে পুলিসের লাঠির ঘায়ে এক মহিলার মাথা ফেটেছে বলেও অভিযোগ। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায় আক্রায়।
ঘূর্ণিঝড় আমফান তাণ্ডব চালানোর পর আজ ৪ দিন। মহেশতলার আক্রায় এখনও বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎহীন গোটা এলাকা। নেই জলও। পানীয় জলের সমস্যায় চূড়ান্ত দুর্ভোগে এলাকাবাসী। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাতে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে বাসিন্দাদের। বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। অবিলম্বে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেন ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।
খবর পেয়ে অবরোধ তুলতে আসে পুলিস। পুলিস অবরোধ তুলতে গেলে বচসা বাধে উত্তেজিত জনতার সঙ্গে। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। আক্রা বাইপাস রোডের উপর রাতের অন্ধকারেই রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ চলে। অভিযোগ, বেশ কয়েকটি অটো ও বাইক ভাঙচুর করেন বিক্ষোভকারীরা। আগুন লাগিয়ে দেন বাইকে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিসও। পুলিসের লাঠির আঘাতে এক মহিলার মাথা ফেটে যায় বলেও অভিযোগ। জখম হন বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী।
প্রসঙ্গত, গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপর্যয় মোকাবিলায় রাজ্যবাসীকে একটু ধৈর্য ধরার জন্য অনুরোধ করেন। জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে কাকদ্বীপ পরিদর্শনে যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "সবকিছু স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে। জেলায় জেলায় প্রচুর ঘরবাড়ি ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমি সবাইকে অনুরোধ করছি, কারও কথায় প্ররোচিত হয়ে রাস্তায় নামবেন না।"
পরে বিকালে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "সুন্দরবনে মানুষ না খেয়ে দিন-রাত কাটাচ্ছেন, দেখে এলাম। তাঁরা তো অধৈর্য হচ্ছেন না! তাহলে আপনারা কেন ধৈর্য ধরছেন না? আমরা সাধ্যমতো কাজ করছি। আমি ও আমার টিম কেউ ৩ দিন ঘুমাইনি। দিন-রাত এক করে কাজ করছি। সব দলকে বলব, কিছুদিনের জন্য ক্ষান্ত হন। কাজ করতে দিন। পছন্দ না হলে আমাকে গুলি করুন। নইলে আমার মাথা কেটে নিন।"
আরও পড়ুন, আমফানে তছনছ শহর-জেলা, পরিস্থিতি মোকাবিলায় পথে নামল সেনাবাহিনী