নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউনের মধ্যে ফের কালোবাজারির অভিযোগ। সামনে এল কালোবাজারির ঘটনা। পাচারের সময় প্রায় ২৮ বস্তা চাল আটক করলেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির মালবাজারের ওদলাবাড়ি বাজার এলাকায়। এলাকাবাসীর দাবি, এই চাল পাচার করা হচ্ছিল। বেশিরভাগ চালের বস্তাতেই সরকারি লেবেল রয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৯টা নাগাদ ওদলাবাড়ি হাটখোলা থেকে টোটোয় করে ২৮ বস্তা চাল দক্ষিণ ওদলাবাড়ির দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা টুকটুকগুলোকে আটকান। দেখা যায়, বহু বস্তায় FCI-এর লোগো ও সরকারি লেবেল লাগানো। এরপরই স্থানীয়রা সব চালের বস্তা আটক করে ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের হলঘরে রেখে দেন। ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, মালবাজার পুলিস ও বিডিওকে খবর দেন তাঁরা।


এই ঘটনায় কালোবাজারির অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। অবিলম্বে এই ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও চালের মালিক মহেশ প্রসাদ দাবি করেছেন, "আমি আমার মুদি দোকানে বিক্রি করার জন্য বাজারের চাল ব্যবসায়ী মোহন অগ্রওয়ালের কাছ থেকে এই চাল কিনে নিয়ে যাচ্ছিলাম। আমি জানি না এটা রেশন এর চাল কি না।"


উল্টোদিকে চাল ব্যবসায়ী  মোহন অগ্রওয়াল দাবি করেছেন, "এগুলো কোনওটাই রেশনের চাল না। রেশনের চালের বস্তায় মেশিন সেলাই থাকবে। কিন্তু এই চালের বস্থায় হাত সেলাই আছে। এটা হান্ডিয়া চাল। আমার গোডাউনে এক বস্তাও রেশনের চাল নেই।" উল্লেখ্য, লকডাউনের মধ্যে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে যাতে কেউ কালোবাজারি করতে না পারে, সেজন্য পুলিস ও প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


এই ঘটনায় মালবাজার ব্লক তৃণমূল সভাপতি তমাল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "এ ব্যাপারে পুলিসকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। রেশনের চাল কেন বাজারে বিক্রি হবে? পুলিস সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নিক।" ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মধুমিতা ঘোষ জানান, "সমস্ত চাল গ্রাম পঞ্চায়েতে আটক করে রাখা হয়েছে। পুলিসকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।


আরও পড়ুন, রাজ্যের কোন কোন হাসপাতালে মিলছে করোনার চিকিত্সা! জেনে নিন সবিস্তারে