নিজস্ব প্রতিবেদন: দর কষাকষিতে ভেস্তে গিয়েছে জোট প্রক্রিয়া। কাস্তে ছাড়াই, নির্বাচনে বাংলার ৪২টি আসনে যে একা লড়বে হাত, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। প্রস্তাবিত তালিকায় নিয়ে এখন দিল্লিতে তিনি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাহুল গান্ধীর গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া গিয়েছে। সোমবার রাতের মধ্যেই ১১ টি কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্রের খবর, রায়গঞ্জে সম্ভাব্য কংগ্রেস প্রার্থী হতে পারেন দীপা দাশমুন্সি। উত্তর মালদহে ঈশা খান, দক্ষিণ মালদহে আবু হাসেম খান চৌধুরী, পুরুলিয়ায় নেপাল মাহাতো সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন। বালুরঘাটে সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক সরকার, আলিপুরদুয়ারে সম্ভাব্য প্রার্থী মোহনলাল বসুমাতারি, দার্জিলিঙে সম্ভাব্য প্রার্থী শঙ্কর মালাকার, জলপাইগুড়িতে সম্ভাব্য প্রার্থী মণি ডারমাল, মুর্শিদাবাদে সম্ভাব্য প্রার্থী আবু হেনা, কোচবিহারে সম্ভাব্য প্রার্থী পিয়া রায়চৌধুরী, জঙ্গিপুরে সম্ভাব্য প্রার্থী অভিজিত্ মুখোপাধ্যায়। অর্থাত্ এবারের লোকসভা নির্বাচনে চারটি দলের মধ্যে লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা যে আরও কিছুটা বাড়ল, তা স্পষ্ট।
তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে আগুন, আঙুল বিজেপির দিকে
কিন্তু কেন ভেস্তে গেল জোট প্রক্রিয়া?
সূত্র বলছে, আলোচনা শেষ হওয়ার আগেই বামেরা যে ভাবে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে অপমানিত বোধ করেছে কংগ্রেস। শুধু তাই নয় নিজেদের প্রার্থী তালিকায় কংগ্রেস নেতা রেজাউল করিমের নাম ঘোষণা করেছে বামেরা। বীরভূম আসন থেকে তাঁর নাম ঘোষণা হয়েছে তবে তিনি কোন দলের প্রতিনিধি সেটা বামেদের তালিকায় উল্লেখ করা হয়নি। এটাতেই আপত্তি কংগ্রেসের।
বাংলায় ৪২টি আসনে একাই লড়বে কংগ্রেস, রাতেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সম্ভাবনা