কমিশনের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে আসানসোলে মোদীর সামনেই বাজল বাবুলের থিম সং
'এই তৃণমূল আর না' শীর্ষক একটি থিম সং তৈরি করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সেটি নিষিদ্ধ করেছে কমিশন।
অঞ্জন রায়
গান নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সে সবের পরোয়া না করেই আসানসোলে মোদীর সভায় বাজল বাবুল সুপ্রিয়র 'এই তৃণমূল আর না'। আর তখন মঞ্চে ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সিপিএমের স্লোগান আশ্রয় করে 'এই তৃণমূল আর না' শীর্ষক একটি থিম সং তৈরি করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। গানটি নিয়ে প্রথম থেকেই তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। ওই গানটি তাদের স্লোগান টুকে তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল সিপিএম। তা স্বীকারও করে নেন বিজেপির বিদায়ী সাংসদ। তার উপরে কমিশনের শংসাপত্র ছাড়াই গানটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। গানটিতে মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল।
নিষিদ্ধ হওয়ার পরও আসানসোলে মোদীর সভার আগে গানটি বাজালেন বিজেপির নেতারা। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শেষ হওয়ার পর আরও একদফা চলল সেই গান। প্রধানমন্ত্রী তখনও মঞ্চে। বাবুলের গানে কোমর দোলাতে দেখা গিয়েছে তাঁর ছোট মেয়েকেও। প্রশ্ন উঠছে গান নিষিদ্ধ হওয়ার পরও কীভাবে তা চালানো হল? নির্বাচন কমিশনকে পরোয়া করছে না বিজেপি?
টুইটে একটি ভিডিও শেয়ার করে বাবুল লিখেছিলেন, "খুব আনন্দ হচ্ছে। আপনাদের সবার জন্য বিজেপির থিম সং রেকর্ডিংয়ের এক ঝলক রইল। অমিত চক্রবর্তীর লেখা এই গানে গলা দেওয়া একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে আমাদের এই গান।" সেই টুইটটিকে উল্লেখ করেই থিম সং বিতর্কে বাবুল সুপ্রিয়র সাফাই খারিজ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন স্পষ্ট জানায়, গানটির প্রচার নিয়ে বাবুল সুপ্রিয় যে দাবি করেছিলেন, তার পুরোটা সত্যি নয়। কমিশন বলে, "বাবুল নিজে তাঁর গান টুইট করেছিলেন। অথচ তিনি দাবি করেছিলেন, মিডিয়া তাঁর গান বাইরে বাজারে এনেছে। এক্ষেত্রে তাঁর কিছু করার ছিল না। কিন্তু, কমিশনের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে এটা প্রমাণিত যে বাবুল নিজেও তাঁর গান টুইট করে সকলের সামনে এনে ছিলেন।" এরপরই থিম সং নিষিদ্ধ করার পথে হাঁটে কমিশন।