শেষলগ্নে নয়া অস্ত্র মুকুলের, শাসকের বিরুদ্ধে ১৩,০০০ কোটির বিদ্যুত দুর্নীতির অভিযোগ

জাতীয় রাজনীতিতে চলছে শিখবিরোধী দাঙ্গা। রাজ্য রাজনীতিতে তখন বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি নিয়ে সরব হল বিজেপি।

Updated By: May 10, 2019, 06:57 PM IST
শেষলগ্নে নয়া অস্ত্র মুকুলের, শাসকের বিরুদ্ধে ১৩,০০০ কোটির বিদ্যুত দুর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদন: জাতীয়বাদের হাওয়া তুলে শুরু হয়েছিল বিজেপির প্রচার। শেষ দুই দফার আগে জাতীয় রাজনীতিতে তা অনেকটাই ফিঁকে হয়ে গিয়েছে। দিল্লি, পঞ্জাবে ও হরিয়ানায় নির্বাচনের আগে ৮৪-র শিখবিরোধী দাঙ্গা চলে এসেছে বিজেপির প্রচারের আলোয়। বাংলাতে আবার 'জয় শ্রী রাম' বিতর্ক নিয়ে আলোড়ন ফেলেছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু শেষ দফায় ভোটগ্রহণ উত্ত-দক্ষিণ কলকাতা ও যাদবপুরে। আর সে কারণে একেবারে নাগরিক সমস্যা নিয়ে তেড়েফুঁড়ে আসরে নামলেন মুকুল রায়রা। বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি নিয়ে ১৩ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন শাসক দলের বিরুদ্ধে।    

জাতীয় রাজনীতিতে চলছে শিখবিরোধী দাঙ্গা। রাজ্য রাজনীতিতে তখন বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি নিয়ে সরব হল বিজেপি। দলের রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায় দাবি করলেন, দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাতেই সর্বাধিক বিদ্যুতের মাশুল। একটি তালিকা দিয়ে বিজেপি দাবি করেছে, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বাকি সব রাজ্যেই ৪ টাকার নীচে বিদ্যুতের মাশুল। এমনকি কয়েকটি রাজ্যে তো ২টাকার নীচে। বিজেপি শাসিত অসমে অবশ্য বিদ্যুতের মাশুল ইউনিটপিছু ৫ টাকা ৪৫ পয়সা। আর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য গোয়ায় বিদ্যুতের মাশুল ইউনিট প্রতি ১.৪০ টাকা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ইউনিট পিছু ৬.২৩ টাকা নেওয়া হচ্ছে।

গত কয়েক বছরে ধাপে ধাপে মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে দাবি মুকুল রায়ের। তাঁর কটাক্ষ, জনদরদী দিদির রাজ্যে বিদ্যুতের মাশুল সর্বাধিক। বিজেপি নেতার অভিযোগ, ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১৩,০০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হয়েছে গ্রাহকদের কাছ থেকে। এটা একটা বড়সড় দুর্নীতি। শিল্পপতির সঙ্গে যোগসাজশ থাকতে পারে শাসক দলের। এনিয়ে তদন্ত করা হোক।

সপ্তম তথা শেষ দফায় ভোটগ্রহণ হতে চলেছে কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, যাদবপুর, জয়নগর ও ডায়মন্ড হারবারে। রাজনৈতিক মহলের মতে, গত দেড়মাসে জাতীয়তাবাদ ইস্যু অনেকটাই থিতিয়ে গিয়েছে। সে কারণে জাতীয়স্তরেও বিজেপির রণকৌশলে পরিবর্তন এসেছে। সেই পথে হেঁটে রাজ্যেও নতুন ইস্যুতে মাঠে নামল গেরুয়া শিবির।  

আরও পড়ুন- মমতার কাছ থেকে পেন ড্রাইভ উদ্ধার করে কয়লা পাচারের তদন্ত হোক, কমিশনকে চিঠিতে আর্জি

 

.