নিজস্ব প্রতিবেদন : তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরের হাত শক্ত করছে। একে অপরের পরিপূরক। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই দাবি করলেন সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


ইয়েচুরি বলেন, দেশ বাঁচাতে বিজেপিকে সরাতে হবে। রাজ্যকে বাঁচাতে তৃণমূলকে হঠাতে হবে। দুপক্ষকেই হারাতে হবে। বিজেপি সরকার দেশজুড়ে 'মেগা লুঠ' করছে বলে তোপ দাগেন সীতারাম। তাঁর দাবি, বুদ্ধিজীবীরা বিজেপি সরকারের বিরোধিতা করছেন। তাঁরা অলটারনেট সেকুলার সরকার চায়। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কমিশনের কাজ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন সীতারাম ইয়েচুরি। বলেন, "যেভাবে কমিশন কাজ করছে, তা নিয়ে সন্তুষ্ট ন‌ই।" আগামিকাল সোমবার কমিশনে যাওয়ার কথাও জানান তিনি।


আরও পড়ুন, 'আধাসেনা নিয়ে মাথাব্যথা নেই, বুথ সামলাবে আমার বাহিনী'


এবার লোকসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে অনেক জলঘোলা হলেও শেষপর্ষন্ত আর জোটের জল গড়ায়নি। আসন সমঝোতা না হওয়ায় ভেস্তে গিয়েছে জোট প্রক্রিয়া। যদিও সীতারাম ইয়েচুরির দাবি, "আসন সমঝোতা না হ‌ওয়ার কোনও প্রভাব পড়বে না ভোটে।" মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানান তিনি। সাংবাদিক বৈঠকে গোর্খাল্যান্ড প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন সীতারাম। স্পষ্ট জানান, তাঁরা পৃথক গোর্খাল্যান্ড সমর্থন করেন না। বলেন, "আমরা গোর্খাল‍্যান্ড কখন‌ওই সমর্থন করার কথা বলি না। আমরা ইউনাইটেড বেঙ্গল চাই।"


আরও পড়ুন, 'শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না,' রামনবমীর মিছিলে অংশ নিয়ে দাবি মন্ত্রী অরূপের  


উল্লেখ্য, দ্বিতীয় দফায় ১৮ এপ্রিল দার্জিলিংয়ে ভোট। পাহাড়ে ভোটের অন্যতম ইস্যু এই গোর্খাল্যান্ড। নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যে এসে কার্শিয়ংয়ের সভা থেকে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের পালে হাওয়া দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ নিজেও। পাশাপাশি, মোদী সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এলে এবার গোর্খাল্যান্ড আদায় করেই ছাড়বেন বলে এদিন হুঙ্কার দিয়েছেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুংও।