ফোন করে ডেকে বাড়িতে পাঠায় প্রেমিকা, তারপর ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে 'খুন' প্রেমিককে

বিদেশে থাকাকালীন প্রিয়াকে মাসে মাসে টাকা পাঠাতেন। এখন কাজে যেতে না পারায় আর টাকা পাঠাতে পারেরনি।

Edited By: সুদেষ্ণা পাল | Updated By: Jun 22, 2020, 05:53 PM IST
ফোন করে ডেকে বাড়িতে পাঠায় প্রেমিকা, তারপর ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে 'খুন' প্রেমিককে
ভবতোষ দেবনাথ

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাড়ির ছাদ থেকে প্রেমিককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে খুনের অভিযোগ উঠল প্রেমিকা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম ভবতোষ দেবনাথ। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হরিণঘাটায় বড়জাগুলীতে। অভিযুক্ত প্রেমিকা ও তাঁর বাবাকে আটক করেছে পুলিস।  

জানা গিয়েছে, হরিণঘাটার বড়জাগুলীর দক্ষিণ ভৌমিক পাড়ার বাসিন্দা দেবনাথ ও মজুমদার দুই পরিবার। দেবনাথ বাড়ির ছেলে ভবতোষ দেবনাথের সঙ্গে মজুমদার বাড়ির মেয়ে প্রিয়া মজুমদারের দীর্ঘদিন ধরেই আলাপ পরিচয় ছিল। ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল দুজনের মধ্যে। মৃতের পরিবারের দাবি, যুগলের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। 

প্রেমিকের বাড়ির অভিযোগ, ভবতোষ তুরস্কে কাজ করতেন। দু'বছর আগে তুরস্কে গিয়েছিলেন। গত ডিসেম্বর মাসে বাড়িতে আসেন। এরপর মার্চে আবার যাওয়ার কথা থাকলেও, করোনা সংক্রমণের জেরে লকডাউনের জন্য আর যেতে পারেনি। বিদেশে থাকাকালীন প্রিয়াকে মাসে মাসে টাকা পাঠাতেন। এখন কাজে যেতে না পারায় আর টাকা পাঠাতে পারেরনি। সেই নিয়ে সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়।

ভবতোষের বাড়ির লোক জানিয়েছেন, কদিন ধরেই দুজনের মধ্যে অশান্তি চলছিল। এরপর রবিবার বিকেলে ফোন করে ভবতোষকে নিজের বাড়িতে ডাকেন প্রিয়া। তাঁদের অভিযোগ, তখনই ভবতোষকে বাড়ির ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে খুন করেন প্রেমিকা প্রিয়া ও তাঁর বাড়ির লোকেরা।

এদিকে প্রিয়ার পরিবারের লোকজনই রক্তাক্ত অবস্থায় ভবতোষকে নিয়ে প্রথমে হরিণঘাটা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র যান। সেখান থেকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে ভবতোষ ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার খবর পেতেই ছুটে যান তাঁরা। গোটা ঘটনায় প্রেমিকা প্রিয়ার পরিবারের বিরুদ্ধেই অভিযোগে আঙুল তুলেছে ভবতোষের বাড়ির লোকেরা। 

যদিও প্রেমিকের পরিবারের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রিয়া। প্রেমিকা প্রিয়ার পরিবারের দাবি, ভবতোষ নিজেই ছাদ থেকে পড়ে যান। টাকা বা অন্য কোনও বিষয়ে কোনও বিবাদ হয়নি। অভিযোগ মিথ্যা। ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার কোনও বিষয়ই নেই। দুপক্ষের দাবির ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে হরিণঘাটা থানা পুলিস। অভিযুক্ত প্রেমিকা ও তাঁর বাবাকে আটক করেছে পুলিস। করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ।

আরও পড়ুন, ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন স্বামীর, থানায় গিয়ে অপরাধ কবুল

.