"টেস্টের সময় থেকে ১৬ ঘণ্টা করে পড়েছি," জানাল মাধ্যমিকে প্রথম অরিত্র
প্রকাশিত হল এবারের মাধ্যমিকের ফলাফল। রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে পূর্ব বর্ধমানের অরিত্র পাল। মেমারি বিদ্যাসাগর ইনস্টিউশনের ছাত্র। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় অরিত্রের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪। মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর অরিত্রর সঙ্গে কথা বললাম আমরা...
প্রশ্ন: প্রত্যাশিত ফলাফল ?
উত্তর: পরীক্ষা দেওয়ার পর বাড়িতে যখন হিসেব করতাম তখন ৬৮৪-৬৯৫ নম্বর হত। তাই প্রাপ্ত নম্বর প্রত্যাশিত। তবে প্রথম হব এটা ভাবি নি। ভেবেছিলাম এক থেকে দশের মধ্যে থাকব।
প্রশ্ন: এই সাফল্যের গোপন রহস্য কী ?
উত্তর: আগে প্রচুর খেলাধূলা করতাম। ক্লাস নাইনে ওঠার পর সবকিছু বন্ধ করে দিয়ে শুধু পড়াশোনা করতাম। তখন থেকেই লক্ষ্য ছিল মাধ্যমিকে দারুণ ফলাফল করব। সেইমত ক্লাস নাইন থেকেই লক্ষ্য স্থির করে এগিয়ে চলি। টানা আড়াই বছর গড়ে ১০-১২ ঘন্টা পড়াশোনা করতাম। টেস্ট পরীক্ষার আগে থেকে ১৬ ঘন্টা পড়াশোনা করেছি। নিয়ম মেনে পড়াশোনা করতাম না। প্রায় সারাদিন বইয়ের সঙ্গে সময় কেটে যেত।
প্রশ্ন: ফলাফল জানার পর প্রথম অনুভূতি কী?
উত্তর: মাধ্যমিকের ফলাফল জানার পর একটা বিষয় উপলদ্ধি করলাম পরিশ্রম করলে তার ফল পাওয়া যায়।
প্রশ্ন: সন্তানের সাফল্যের নেপথ্য কারিগর বাবা-মা। কাকে এগিয়ে রাখবে?
উত্তর: অবশ্যই মা। ছোটবেলা থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত মা আমার শিক্ষাগুরু। শুধুমাত্র সায়েন্সের জন্য আমার শিক্ষক ছিল। বাকি সব বিষয় মা আমাকে পড়াতেন।
প্রশ্ন: প্রিয় বিষয় কী?
উত্তর: কেমিস্ট্রি আর অংক আমার প্রিয় বিষয়।
প্রশ্ন: পড়াশুনার বাইরে কিভাবে সময় কাটাতে ভালো লাগে?
উত্তর: বই পড়তে ভালো লাগে। তবে ছবি আঁকতে বেশি পছন্দ করি।
প্রশ্ন: ভবিষ্যতের লক্ষ্য কী ?
উত্তর: ভবিষ্যতে KVPY পরীক্ষা দেব। যদি সুযোগ পাই তাহলে গবেষণা করতে চাই। আর সেটা করতে চাই বেঙ্গালুরুতে। যদি সুযোগ না পাই
তাহলে মেডিক্যাল লাইনে যেতে চাই।
আরও পড়ুন : প্রিয় অভিনেতা আবীরের ফোনে আপ্লুত মাধ্যমিকে তৃতীয় দেবস্মিতা