ফেসবুকের পরিচয়ে প্রেম, বিয়ে করতে অস্বীকার, মালদহে দশম শ্রেণির ছাত্রীর খুনে নয়া তথ্য
মালদার ইংরেজবাজারের দশম শ্রেণির ছাত্রীর খুনের ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফেসবুকে বন্ধুত্ব, তার থেকে প্রেম, পরে সঙ্গীর বিয়ে করতে অস্বীকার, আর বিয়ের জন্য চাপ। এটাই মালদার দশম শ্রেণির ছাত্রীর মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াল। মালদার ইংরেজবাজারের দশম শ্রেণির ছাত্রীর খুনের ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এই ঘটনায় দুই পিসতুতো ভাই সাহাবুল হক ও শামিম আখতারকে গ্রেফতার করে পুলিস।
জেরায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, ফেসবুকে সাহাবুল হকের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় ওই ছাত্রীর। পরে তার থেকে প্রেম হয়। ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় দুজনের মধ্যে। পুলিসের কাছে ধৃতরা স্বীকার করেছে, সাহাবুল বিয়ে করতে রাজি ছিল না। ওই ছাত্রী তাকে চাপ দিতে থাকে। এরপরই পথের কাঁটা সরাতে খুনের ছক কষে সে।
দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর খুন করে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ মালদায়
ওই ছাত্রীকে ঢেকে আনে সাহাবুল। বলে, ২৩ মে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে এই বলে ১৯ মে ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে আনে সে। এরপর পিসতুতো ভাই শামিমের সঙ্গে মিলে ছাত্রীকে খুন করে। খুনের সময় একজন ছাত্রীকে চেপে ধরেছিল অপরজন গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে খুন করে। এরপর প্রমাণ লোপাট করতে বাড়ি থেকে ১০ কিমি দূরে মাটিতে পুঁতে দেয় তারা। জমিতে কাজ করতে গিয়ে চাষিরা তা খুঁজে পান।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ মে ইংরেজাবাজারে মিল্লিনগর এলাকা থেকে এক ছাত্রীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিস। পরিবারের তরফে জানানো হয়, টানা নদিন নিখোঁজ ছিল ওই ছাত্রী। ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তোলে পরিবার। এরপরই তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।