নিজস্ব প্রতিবেদন : আলু, পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এদিন খাতড়ার সভা থেকে সরাসরি কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এই যে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, তার জন্যে কে দায়ী? আগে আলু, পটল, পেঁয়াজ রাজ্যের অধীনে ছিল। এখন দিল্লির সরকার আলুর সরকার। ওরা আপনাদের খেতে দিচ্ছে না। সব আলু নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে।" তোপ দাগেন, "চাষিদের, দলিতদের, আদিবাসীদের, সংখ্যালঘুদের সব কেড়ে নেবে। আর ক্ষমতায় এসে বলবে, এনআরসি চাই। বাংলা থেকে বার করে দেবে।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রশাসনিক সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের জন্যই আলু, পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। উল্লেখ্য, মোদী সরকার সম্প্রতি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনে সংশোধন আনে। নয়া আইনে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ প্রভৃতি খাদ্যপণ্যকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যার ফলে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ মজুতে এখন আর কোনও সরকারি বিধিনিষেধ নেই। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে বাজারে আলু, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে যেকোনও সবজিতেই হাত দিলে যেন ছ্যাঁকা লাগছে। সবেরই দাম আকাশছোঁয়া। আর এইজন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেই দায়ী করেছেন তিনি। পাশাপাশি, আগামী জুন মাস পর্যন্ত রেশনে বিনা পয়সায় চাল দেওয়ার কথাও এদিন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। দরকারে বিনামূল্যে রেশন আরও বাড়িয়ে দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।


অন্যদিকে এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটের আগে টাকা দেওয়ার অভিযোগও করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, "ভোটের আগে অনেকে আসবে। ভোটের জন্যে ব্যাঙ্কে টাকা দেবে। নিয়ে নেবেন। কিন্তু ওদের ভোট দেবেন না। মনে রাখবেন, ওটা আপনাদের হকের টাকা। ভোট আমাদের দেবেন। আমরা আপনাদের জন্য কাজ করব।" যার জবাবে পরে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ পাল্টা বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় টাকা টাকা করেন। তাই তিনি টাকার কথা বলেছেন। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক সম্মাননিধি প্রকল্পের ৬০০০ টাকা তিনি পেতে দিচ্ছেন না। আয়ুষ্মান প্রকল্পের ৫ লাখ টাকারও সুবিধা তিনি মানুষকে পেতে দিচ্ছেন না।" 


আরও পড়ুন, বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে সরকারি ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর