বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে সরকারি ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
গত ৫ নভেম্বর বাঁকুড়ার পুয়াবাগানে একটি মূর্তিকে বিরসা মুন্ডার মূর্তি দাবি করে তাতে শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের যে বাঁকুড়া সফরকে ঘিরে 'বিরসা মুন্ডা মূর্তি বিতর্কে'র সূত্রপাত, এদিন সেই বাঁকুড়ার মাটিতে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, আগামী বছর থেকে বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে ছুটি থাকবে। অর্থাত্ আগামী বছর থেকে সরকারি ছুটির ক্যালেন্ডারে যুক্ত হল ১৫ নভেম্বর দিনটি। বিরসা মুন্ডার জন্মদিন উপলক্ষে সেই দিনটি সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষিত হল।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "একটা মূর্তিতে মালা দিল বিরসা মুন্ডা বলে! বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙবে, আবার এসে মালা দিয়ে মিথ্যা বলবে! এটা হতে পারে না। আগামী দিনে বিরসা মুন্ডার জন্মদিনেও ছুটি থাকবে।" এদিন খাতড়ার প্রশাসনিক সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজি, বি আর আম্বেদকর, গুরু নানক সবার জন্মদিনে ছুটি থাকে। ইদ, দুর্গাপুজোতেও ছুটি থাকে। এবার থেকে সাঁওতাল বিদ্রোহের নায়ক বিরসা মুন্ডার জন্মদিনেও সরকারিভাবে ছুটি থাকবে। উল্লেখ্য, এবছরও ১৫ নভেম্বর রাজ্য সরকার ছুটি দিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর বাঁকুড়ার পুয়াবাগানে একটি মূর্তিকে বিরসা মুন্ডার মূর্তি দাবি করে তাতে শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। ওই মূর্তি বিরসার মূর্তি নয়, সেটি আসলে এক আদিবাসী শিকারির মূর্তি এই দাবি করে পরেরদিনই রাস্তায় নামে তৃণমূল। অমিত শাহর ছোঁয়া লাগা মূর্তির শুদ্ধকরণও করে তৃণমূল। এরপর ১৫ নভেম্বর বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে ওই মূর্তিস্থলেই হাজির হয়ে বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার মূর্তিটি বিরসা মুন্ডার-ই দাবি করে শ্রদ্ধা জানান। সেদিন পুনঃশুদ্ধকরণও করা হয় মূর্তিটির। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আদিবাসী সমাজের একাংশকে নিয়ে ফের পুয়াবাগানে হাজির হয়ে ওই এলাকায় ৪০ ফুট উঁচু বিরসা মুন্ডার সুবিশাল মূর্তি স্থাপনের অঙ্গীকার করে তৃণমূল।
আরও কী ঘোষণা করলেন এদিন মুখ্যমন্ত্রী? পড়ুন, জুন পর্যন্ত বিনা পয়সায় চাল, ব্লকে ব্লকে 'দুয়ারে দুয়ারে সরকার'-এর সূচনা মুখ্যমন্ত্রীর